Homeসব খবরজাতীয়প্রমাণ করব আমাকে হারানো হয়েছে : হিরো আলম

প্রমাণ করব আমাকে হারানো হয়েছে : হিরো আলম

গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ভোটগ্রহণে বগুড়া-৪ আসনে ১৯ হাজার ৫৭১ ও বগুড়া-৬ আসনে ৫ হাজার ২৭৪ ভোট পেয়েছেন তিনি। কোনো আসনেই জয় লাভ করতে পারেননি হিরো আলম। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) দুই আসনে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে অংশ নিয়েছিলেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।

হিরো আলম একতারা প্রতীকে নির্বাচন করেন। আর বগুড়া-৪ আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ১৪ দলীয় জোট প্রার্থী জাসদ নেতা রেজাউল করিম তানসেন ২০ হাজার ৪০৫ ভোটে জয়ী হন। মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন হিরো আলম। তবে এই হারকে ‘হার’ মানতে নারাজ হিরো আলম।

সংবাদমাধ্যমকে হিরো আলম জানিয়েছেন, সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ হয়েছে। ভোট চুরি হয়নি, তবে ফলাফল চুরি হয়েছে। কেন্দ্রের ফলাফল নির্বাচনী এজেন্টদের কাছে সরবরাহের কথা থাকলেও কিছু কেন্দ্রে এজেন্টদের কাছে ফলাফল সরবরাহ করা হয়নি। নন্দীগ্রাম উপজেলায় স্থাপিত নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে ফলাফল ঘোষণার সময় ৪৯ কেন্দ্রের মধ্যে ১ থেকে ৩৯টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এ সময় কেন্দ্রেভিত্তিক ঘোষণায় একতারার বিজয় নিশ্চিত হওয়ায় কিছুক্ষণ পর বাকি ১০ কেন্দ্রের ফলাফল কেন্দ্রভিত্তিক ঘোষণা না করেই জাসদ প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে ফলাফল পাল্টিয়ে অন্যায় করা হয়েছে। তাকে হারানোর বিষয় তথ্যের মাধ্যমে প্রমাণ করবেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তিনি বলেন, ‘আমি তো হারিনি, আমাকে হারানো হয়েছে। আমি তথ্যের মাধ্যমে প্রমাণ করে দেব এ কথা। আজ নির্বাচনী অফিসে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে দুই আসনের প্রতিটি কেন্দ্রের ফলাফলের তালিকা দেয়া হলো আমাকে। আদালতে রিট করব বলে তালিকাগুলো আনার জন্য গিয়েছিলাম।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ তার স্বপ্ন পূরণের এই যাত্রাকে শুভ কামনাও জানাচ্ছেন। হিরো আলমের দুই আসনে নির্বাচন ও অল্প কিছু সংখ্যক ভোটে পরাজয়কে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অনেকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভোটগ্রহণ নিয়ে তো বলার কিছু নেই। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। যারা আমাকে সাপোর্ট করেছেন তাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ।’

Advertisement