Homeসব খবরজেলার খবরপেকিন হাঁস পালনে স্বাবলম্বী নারী উদ্যোক্তা রোকেয়া!

পেকিন হাঁস পালনে স্বাবলম্বী নারী উদ্যোক্তা রোকেয়া!

দারিদ্রতাকে জয় করে নিজেকে সফল খামারি হিসেবে গড়ে তুলেছেন তিনি। তার সফলতা দেখে অনেকে নারীরাই হাঁস পালনে এগিয়ে আসছেন। জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল বাঘোপাড়া গ্রামের রোকেয়া বেগম বিদেশি জাতের পেকিন হাঁস পালনে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

স্থানীয় এক বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় ৫০টি পেকিন হাঁস নিয়ে ২০২১ সালে শুরু করেন হাঁস পালন। এই হাঁস পালনের কারণেই তার দু:খের সংসারে এখন সুখের সুবাতাস বইছে। এই হাঁস পালনের উপার্জন দিয়েই তার একমাত্র ছেলেকে অনার্স পড়াচ্ছেন। ছেলেও মায়ের কাজে সাহায্য করে। জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল, আক্কেলপুর ও কালাই উপজেলায় ১২৮টি হাঁসের খামার গড়ে উঠেছে। পেকিন হাঁস পালনে রোকেয়া বেগমের সফলতা দেখে অনেকেই এগিয়ে আসছেন এ হাঁস পালনে।

খামারি রোকেয়া বেগম বলেন, আমি ২০২১ সালে একটি বেসরকারি সংস্থার সাহায্যে ৫০টি পেকিন হাঁস পালন শুরু করি। আমার সংসারে খুব অভাব ছিল। ছেলেকে পড়াশোনা করাতে পারবো কিনা তা নিয়ে সন্দিহান ছিলাম। তারপর ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে হাঁস পালন শুরু করি। পড়ার ফাকে ফাকে আমাকে সাহায্যও করে। বর্তমানে আমার ৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা মুলধন রয়েছে। এখন ছেলে অনার্সে পড়ছে।

তিনি আরও বলেন, এখন আমার খামারে ৮০টি পেকিন হাঁস রয়েছে। বাজারে যেতে হয় না। চাহিদা বেশি থাকায় ক্রেতারা বাড়িতে এসেই হাঁস নিয়ে যায়। পেকিন হাঁসের বাচ্চা বিক্রি হয় ৭০ টাকা, ডিম বিক্রি হয় ১৫ টাকা পিস ও প্রতি কেজি মাংস বিক্রি হয় ২শ টাকা। একেকটি হাঁসের ওজন হচ্ছে সাড়ে তিন কেজি থেকে শুরু করে ৪-৫ কেজি পর্যন্ত। মাংস খেতে বেশ সুসাদু, পুষ্টিগুণাগুণ সমৃদ্ধ ও নরম হওয়ায় সব বয়সের লোকজন পেকিন হাঁসের মাংস খেতে পারেন। প্রতিটি হাঁস বছরে ডিম দেয় ১৭০ থেকে ১৮০ টি।

রোকেয়া বেগম আরও বলেন, অন্যান্য দেশিও হাঁসের তুলনায় রোগবালাই কম আবার ২ মাসেই ওজন আসে ৩ কেজি ফলে পেকিন হাঁস পালন বেশ লাভজনক। তাই আমি ছাড়াও অনেক নারীরা এই হাঁস পালনে আগ্রহী হচ্ছেন।

প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মাহফুজার রহমান বলেন, পুরুষের পাশাপাশি এখন নারীরাও উদ্যোক্তা হচ্ছেন। নারী উদ্যোক্তা বৃদ্ধিতে কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। আমরা তাদের সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করবো। নানা উদ্যোগ নিয়ে গ্রামীণ নারীরাও এখন দারিদ্রতাকে দূর করে এগিয়ে যাচ্ছেন।

Advertisement