Homeসব খবরজেলার খবরপেঁয়াজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় খুশি কৃষকরা

পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় খুশি কৃষকরা

আবহাওয়া ভালো থাকায় এবং এখানকার জমি উর্বর হওয়ায় পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা। এই উপজেলার উৎপাদিত পেঁয়াজ স্থানীও চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় ব্যাপক পরিমানে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে।

ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পেঁয়াজের রাজধানী হিসেবে খ্যাত। এই উপজেলার মোট আবাদি জমির প্রায় ৯০ ভাগ জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় পেঁয়াজ চাষে খরচ ও সময়ে কম এবং বেশি লাভ হয় বলে প্রতি বছর এর চাষের পরিমান বাড়ছে। বর্তমানে পেঁয়াজ ক্ষেত পরিচর্যা, ও/ষুধ ও কীটনা/শক প্রয়োগে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। এতে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। এখানকার চাষিরা হালি ও মুড়িকাটা পেঁয়াজ বেশি চাষ করে থাকেন।

উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্র মতে, চলতি মৌসুমে ১০ হাজার ৩৯৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আর প্রায় ১১ হাজার হেক্টরে চাষ হয়েছে। চলতি মাসেই কৃষকরা নতুন পেঁয়াজ ওঠানো শুরু করবেন।

পেঁয়াজ চাষিরা জানায়, পেঁয়াজ চাষে প্রতি শতক জমিতে প্রায় ১২০০ টাকা খরচ হয়। আর প্রতি শতকে ৪০-৬০ কেজি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। যদি সরকার বাহির থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করে এবং বাজারে ভালো দাম পেলে আমরা লাভবান হতে পারবো। প্রতি মণ পেঁয়াজ এর দাম দেড় হাজার টাকার ওপরে না হলে চাষিদের লোকসান হবে। বাজারে বর্তমানে পেঁয়াজের যে দাম রয়েছে তা কৃষকের জন্য লাভজনক নয়।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জীবাংশু দাস বলেন, চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পেঁয়াজের বেশি চাষ করা হয়েছে। আশা করছি কৃষকরা ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন। আমরা কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছি।

Advertisement