বর্গা নেওয়া পুকুরের পাড়ে চারা রোপন করেন এবং পানির ওপরে বাঁশ ও সুঁতা দিয়ে মাচা তৈরি করে লাউ চাষ করছেন। বর্তমানে তার মাচায় ঝুলছে শত শত লাউ। স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন তিনি। নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের কৃষক রতন মিয়া পুকুর পাড়ে লাউ চাষ করে সফল হয়েছেন।
কৃষক রতন মিয়া নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের তারাকান্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একটি পুকুর বর্গা নিয়ে মাছ চাষ করতেন। তার পাশাপাশি পুকুরের পাড়ে লাউয়ের চারা রোপন করেন। তার এভাবে লাউ চাষ দেখে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন। আর বাঁশ ও সুতা দিয়ে মাচা তৈরী করে লাউ চাষ করছেন। তার মাচায় শত শত লাউ ঝুঁলছে।
কৃষক রতন মিয়া বলেন, আমি ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে ২ বছরের জন্য ৪০ শতকের একটি পুকুর বর্গা নিয়েছি। সেখানে মাছ চাষ করছি। পুকুরের পাড়গুলো খালি পড়ে ছিল। তাই পাড়ে উন্নত জাতের লাউ বীজ লাউয়ের চারা রোপন করেছি। খুব অল্প সময়েই মাচায় লাউয়ে ভরে গেছে। আর বাঁশ ও সুতা দিয়ে মাচা তৈরী করেছি।
তিনি আরও বলেন, লাউ চাষে আমার ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন লাউ বিক্রি শুরু করেছি। বাজারে লাউয়ের চাহিদা থাকায় দামও ভালো পাচ্ছি। প্রতি পিস লাউ ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি। অনেকে পুকুরের পাড় থেকেই লাউ কিনে নিয়ে যাচ্ছে। আরো বিক্রি করতে পারবো। এখন পর্যন্ত ৭০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করতে পেরেছি।
আরেক কৃষক সিরাজ মিয়া বলেন, এখন লাউয়ের বেশ চাহিদা রয়েছে। রতন মিয়া বুদ্ধি করে পাড়ে লাউ চাষ করায় লাভবান হচ্ছে।
কৃষি কর্মকর্তা একেএম শাহজাহান কবির বলেন, লাউ চাষ খুবই লাভজনক। আমরা চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ ও সহযোগীতা করছি। লাউ চাষে পোকামাকড় বা গাছের রোগ বালাই কম হয়।