Homeসব খবরজেলার খবরপা দিয়ে লিখে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে মানিক

পা দিয়ে লিখে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে মানিক

অদম্য ইচ্ছা শক্তি থাকায় সে সুস্থ ও স্বাভাবিক অন্য শিক্ষার্থীদের মতো পা দিয়ে লিখে এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। বাবা-মা ও শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ উপজেলা বাসীর মুখ উজ্জল করেছে শারী’রিক প্রতিব’ন্ধী এই শিক্ষার্থী। জন্ম থেকেই দুই হাত নেই মানিক রহমানের। দুই পা থাকলেও একটি লম্বা ও অন্যটি খাটো।

মেধাবী মানিক রহমান এ বছর ফুলবাড়ী জছিমিঞা মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। পা দিয়ে লিখলেও অন্য শিক্ষার্থীদের তুলনায় তার হাতের লেখা মাধুর্যপূর্ণ। মানিক রহমানের বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামে। তার বাবা মিজানুর রহমান একজন ওষু’ধ ব্যবসায়ী, মা মরিয়ম বেগম একজন প্রভাষক।

পা দিয়ে লিখে কেবল ভালো রেজাল্ট নয়, সে পা দিয়ে মোবাইল চালানো এবং কম্পিউটার টাইপিং ও ইন্টারনেট ব্যবহারেও পারদর্শী। বাবা-মায়ের বড় ছেলে মানিক রহমান। তার দুটো হাত না থাকলেও পড়ালেখা থেকে কখনও পিছিয়ে পড়েননি। তাকে কঠোর পরিশ্রম করা শিখিয়েছে তার পরিবার। লড়াকু সৈনিক মানিক রহমান ২০১৬ সালে জছিমিঞা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিএসসিতে গোল্ডেন এ-প্লাস, ২০১৯ সালে জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।

মানিকের বাবা মিজানুর রহমান ও মা মরিয়ম বেগম বলেন, ‘মানিক আমাদের গর্ব। সবাই আমার ছেলেটার জন্য দোয়া করবেন সে যেন সুস্থ সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকতে পারে। সে এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে তার স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করতে পারে।’

মানিক রহমান বলেন, ‘আমার দুটো হাত না থাকলেও আল্লাহর রহমতে এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছি। এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে যেন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারি এবং ভবিষ্যতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পারি সেজন্য দোয়া করবেন।’

ফুলবাড়ী জছিমিঞা মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবেদ আলী খন্দকার বলেন, ‘শারী’রিক প্রতি’বন্ধী হওয়ার পরেও মানিক রহমান অন্য শিক্ষার্থীদের চেয়ে ভালো ফলাফল করায় আমরা মুগ্ধ। সে জীবনে অনেক বড় হোক এ দোয়া করি।’

Advertisement