Homeসব খবরজেলার খবরপারিবারিক পুষ্টি বাগানে স্বচ্ছলতা ফিরছে দরিদ্র পরিবারে!

পারিবারিক পুষ্টি বাগানে স্বচ্ছলতা ফিরছে দরিদ্র পরিবারে!

বসতবাড়ির আঙিনা ও পরিত্যক্ত জায়গায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন করে কৃষকরা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত সবজি বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারছেন। টাঙ্গাইল জেলার ১২টি উপজেলায় দিন দিন জনপ্রিয়তা লাভ করছে পারিবারিক বিষমুক্ত সবজির পুষ্টি বাগান। জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বিভাগের ‘পারিবারিক পুষ্টি বাগান’ স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করায় দিন দিন এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল জেলার ১২টি উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে ১০০টি করে পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রদর্শনী প্রকল্পের কাজ করছে কৃষি বিভাগ। এতে স্বচ্ছলতার মুখ দেখছে দরিদ্র পরিবারের লোকজন। সাড়ে ১১ হাজার পুষ্টি বাগান স্থাপন লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ৮ হাজার সবজি বাগান স্থাপন করা হয়েছে।

সবজি চাষি লাবণী আক্তার বলেন, বাড়ির পাশের জায়গা পড়ে থাকতো। আমরা সেখানে কিছুই চাষ করতামনা। তবে এখন কৃষি বিভাগের সহযোগীতায় সবজির বাগান করেছি। সবজি চাষকরে নিজেরা খাচ্ছি পাশাপাশি বিক্রি করে স্বচ্ছল হয়েছি। বি’ষমুক্ত সবজি হওয়ায় এর চাহিদা অনেক বেশি।

প্রত্যেক পরিবারকে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের সবজির বীজ, সার, ফলের চারা, নেট, বীজ সংরক্ষণের পাত্র, বাগানে পানি দেওয়ার ঝাঝরিসহ অন্যান্য সব উপকরণ বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে মুলা, লালশাক, পাটশাক, পুঁইশাক, লাউ, পালংশাক, শিম, ডাটা, ধনিয়া ও ঘিমা কলমি শাকসহ নানা প্রজাতির সবজি চাষ করছেন।

কৃষি কর্মকর্তা শোয়েব মাহমুদ বলেন, আমরা কৃষকদের তাদের অনাবাদি জমি ফেলে না রেখে সেখানে সবজির চাষের পরামর্শ দিচ্ছি। তাদের প্রকল্পের আওতায়্ এনে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজির বীজ ও ফলের গাছ বিতরণ করেছি। উপজেলায় ৮টি ইউনিয়নে ৮০০টি বাগান স্থাপন করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আহসানুল বাসার বলেন, সকল মানুষেরই পুষ্টির প্রয়োজন রয়েছে। এতে যারা দরিদ্র তাদের চাষাবাদের জমি না থাকায় তারা চাষাবাদ করতে পারে না। তাই আমরা তাদের বাড়ির আঙিনায় ও অনাবাদি জমিতে সবজি আবাদের পরামর্শ দিচ্ছি। তাদের বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজির বীজ ও ফলের গাছ বিতরণ করেছি। পাশাপাশি উৎপাদিত অতিরিক্ত সবজি বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয়ও করতে পারছেন। তারা সবজি চাষ করে নিজেদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারছেন।

Advertisement