সর্বশেষ ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ে সফর করেছিল বাংলাদেশ দল। তখনো আব্দুর রাজ্জাক জাতীয় দলের নিয়মিত ক্রিকেটার ছিলেন। সেবার মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে টেস্ট সিরিজ ড্র এবং ওয়ানডে সিরিজে হেরেছিল বাংলাদেশ। আট বছর পর আগামী ২৯ জুন জিম্বাবুয়ে সফরের জন্য দেশ ছাড়বে টাইগাররা। সফরে একটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও চারটি টি-২০ খেলবে বাংলাদেশ দল। এখন পুরাদস্তুর নির্বাচকের ভূমিকায় রাজ্জাক। খেলোয়াড়ি জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই জানেন, জিম্বাবুয়ে সফর সহজ নয় বাংলাদেশের জন্য।
বিরুদ্ধ কন্ডিশনে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় টাইগারদের। বর্তমানে ক্রিকেটের মানচিত্রে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের অবস্থানে বেশ ব্যবধান রয়েছে। তার পরও হোম কন্ডিশনে জিম্বাবুইয়ানরা কঠিন প্রতিপক্ষ হয়ে ধরা দেবে বলেই ধারণা করছেন রাজ্জাক।
গুঞ্জন আছে, জিম্বাবুয়ে সফরে বাংলাদেশের কয়েক জন সিনিয়র ক্রিকেটার ছুটি নিতে পারেন। বিশেষ করে ইতিমধ্যে ক্রিকেটপাড়ায় খবর রটেছে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজে খেলবেন না তামিম ইকবাল। সিনিয়রদের এমন ছুটির পক্ষে নন নির্বাচক রাজ্জাক। গতকাল মিরপুর স্টেডিয়ামে এ প্রসঙ্গে সাবেক এই ক্রিকেটার বলেছেন, ‘জিম্বাবুয়ের মাটিতে জিম্বাবুয়ে সহজ প্রতিপক্ষ নয়, বাংলাদেশের মাটিতে হলে বলতাম তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ। জিম্বাবুয়েতে জিম্বাবুয়ে কখনোই সহজ প্রতিপক্ষ নয়। আমি কোনোভাবেই এর সঙ্গে একমত হব না।’
দল নির্বাচনের জন্য সম্প্রতি খেলা ক্রিকেটারদের দিকেই নজর রাখছেন নির্বাচকেরা। নতুন করে কেউ নির্বাচকদের নজরে আসেননি। আহামরি পারফরম্যান্সও দেখাতে পারেননি। রাজ্জাক বলেছেন, ‘নির্বাচনের ব্যাপারটা সব সময় একই, পারফর্ম করবে যারা, তাদেরই বিবেচনা করা হবে। একদম বাইরে থেকে আসতে হলে তাকে অনন্যসাধারণ করা লাগে। যেমন আমাদের রাডারে নাই এমন কেউ, মূলত যারা পারফর্ম করছে তাদেরই আমরা নজরে রাখছি।’
লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্তর মতো অফফর্মে থাকা ক্রিকেটারদের কোচ-মেন্টরের সঙ্গে কাজ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্জাক। গতকাল সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনার বলেছেন, ‘লিটনের কথা বলেন আর অন্য যার কথাই বলেন, তারা কিন্তু খারাপ খেললে নিজেরাই বোঝে। কামব্যাক করতে হলে তাকে কোচের দ্বারস্থ হতে হবে, যদি কোনো মেন্টর থাকে তার সঙ্গে কথা বলবে। আমাদের বার্তা থাকে যে ভালো করো। ভালো করলেই আমাদের জন্য সুবিধা হয়।’