Homeসব খবরজেলার খবরনিরাপদ সবজি চাষে লাভবান কৃষকরা

নিরাপদ সবজি চাষে লাভবান কৃষকরা

সবজি উৎপাদনে রাসা/য়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার এবং মালচিং পেপার ও পোকা দমনে আঠা যুক্ত স্টিকার ব্যবহার করে সবজি চাষ করেছেন লক্ষ্মীপুরের কৃষকরা। এই পদ্ধতিতে আবাদে খরচ কম এবং ফলনও বেশি পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি এইসব সবজির বাজারদর ভালো থাকায় বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরবংশী ও সদর উপজেলার কালিচর এলাকার কয়েকজন কৃষক প্রায় ৩১ একর জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে নিরাপদ সবজি চাষ করেছেন। এতে কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে কৃষকদেরকে বিনামূল্যে বিভিন্ন কৃষি উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে। একই সাথে পোকা দমনে আঠাযুক্ত স্টিকার, সে/ক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে রাসা/য়নিক সার মুক্ত জৈব পদ্ধতিতে নিরাপদ সবজি উৎপাদন করছেন।

চলতি বছর এই জেলায় ৫ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এতে ইতোমধ্যে ৩ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন সবজির আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। কৃষকরা জানায়, পোকা গাছে আক্রমন করে ফুলের রস চুষে খেয়ে ফেলে। ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। আঠাযুক্ত স্টিকার দেওয়ায় পোকাগুলো সেখানে আটকে যায় আর ফসলের কোনো ক্ষতি করতে পারে না।

কৃষক মিজান ছৈয়াল বলেন, আমি আমার ৩৮ শতাংশ জমিতে মরিচসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির আবাদ করেছি। চাষে ৫-৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি আরো বিক্রি করতে পারবো। ইতোমধ্যে ২০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করেছি।

কৃষি কর্মকর্তা কাওসার বলেন, কৃষকরা মালচিং পদ্ধতিতে আঠযুক্ত স্টিকার ব্যবহারে বিভিন্ন সবজি উৎপাদন করছেন। পাশাপাশি আশেপাশের অন্যান্য কৃষকদেরও এই পদ্ধতিতে সবজি চাষে উৎসাহিত করছেন। আশা করছি আগামীতে এই পদ্ধতিতে চাষাবাদের পরিমান আরো বাড়বে। পাশাপাশি আশেপাশের অন্যান্য কৃষকদেরও এই পদ্ধতিতে সবজি চাষে উৎসাহিত করছেন।

জেলা কৃষি বিপনন ও মার্কেটিং অফিসার মুনির হোসেন বলেন, এবছর জেলায় ৩ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন সবজির আবাদ হয়েছে। কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে কৃষকদেরকে বিনামূল্যে বিভিন্ন কৃষি উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে। পাশাপাশি ভালো দরে বিক্রি করে যেন লাভবান হতে পারে আমরা সেই দিকেও খেয়াল রাখছি। কৃষক যেন উৎপাদিত সবজি মাঠ থেকেই বিক্রি করতে পারেন আমরা তাদের সাথে থেকে সেই ব্যবস্থাই করে দিচ্ছি।

Advertisement