Homeসব খবরক্রিকেটনিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাতে চান তামিম

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাতে চান তামিম

বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রীকে সামনাসামনি ধন্যবাদ জানাতে চান। তিনটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে বর্তমানে নিউজিল্যান্ডে অবস্থান করছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। নিউজিল্যান্ড সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ১৪ দিনের কঠোর কোয়ারেন্টাইন শেষে হয়েছে আজ।

আজ থেকে নিউজিল্যান্ডের স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা। শুধু তাই নয় আজ ক্রাইস্টচার্চ ছেড়ে কুইন্সটাউনে উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বহর। সেখানেই শুরু হবে বাংলাদেশের মূল অনুশীলন। আগামীকাল কুইন্সটাউনে দলীয় অনুশীলনের বাংলাদেশ দলের সাথে যোগ দেবেন স্পিন বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। নিজ শহর অকল্যান্ড থেকে আজ সন্ধ্যায়ই কুইন্সটাউনে দলের সঙ্গে মিলিত হবেন ভেট্টোরি।

এদিকে ১৪ দিন পর দলের সাথে যোগ দিতে পেরে দারুণ খুশি তামিম ইকবাল। নিউজিল্যান্ডের ১৪ দিন ঘরবন্দি থাকলেও এখন মুক্ত বাতাসে ঘুরতে পেরে দারুণ খুশি তামিম। সেই সাথে নিউজিল্যান্ডের অতিথিয়তা দারুণ মুগ্ধ হয়েছেন তামিম ইকবাল। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজ তামিম ইকবাল বলেন, “দারুণ অনুভূতি। এটা আমাদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। আমরা জৈব সুরক্ষা বলয়ে ছিলাম। কিন্তু এমন একদম আইসোলেশনে ছিলাম না। সত্যি কথা বলতে এখানে যারা ছিলেন, তাঁরা আমাদের খুবই ভালো দেখাশোনা করেছে। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট সেভাবে সব দেখাশোনা করেছে, আমরা শুধু ধন্যবাদ দিতে পারি। এটা সহজ না। কিন্তু ওরা যতটা সহজ করা যায় সেটা করেছে।’

সেই সাথে নিউজিল্যান্ডের এই নিয়মকে সম্মান জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। এসময় তিনি আরো বলেন, “কিন্তু আপনাকে প্রত্যেকটি দেশের নিয়মকে সম্মান জানাতে হবে। এখন ভালো দিক হচ্ছে আমরা বাইরে বের হয়েছি। পরিস্কার বাতাসে আছি। এখন গত দুই সপ্তাহর মতো না। যখন আমাদের একটু সময় দেওয়া হতো বের হওয়ার। এখন সব ভালো।

সেই সাথে গত আসরের সেই স্মৃতির কথা মনে করেছেন তামিম ইকবাল। এছাড়াও ধন্যবাদ জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কে। তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি এই নিয়ে চার কি পাঁচবার এলাম নিউ জিল্যান্ডে। সবসময়ই এই দেশে আসতে মুখিয়ে থাকি আমরা। খুবই সুন্দর একটি দেশ।

“এখানকার মানুষেরা ভালো। এখানকার প্রধানমন্ত্রীর কথাও বলতে চাই, ওই কঠিন সময় তিনি যেভাবে সামলেছেন, বাংলাদেশের সবাই বাহবা দিয়েছে। তিনি দারুণ কাজ করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে কখনও তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হলে আমি তাকে ধন্যবাদ জানাব।’

উল্লেখ্য, দুই বছর আগে নিউজিল্যান্ডের যে শহরে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ঠিক সেই শহরে আবার অবস্থান করছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। ওই সময় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে বিশেষ নিরাপত্তাসহ সব সুযোগ সুবিধা দিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরদার্ন। এজন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞ বাংলাদেশ দল।

Advertisement