Homeসব খবরজেলার খবরনাসিরের বাগানে গাছে গাছে বীজবিহীন কুল

নাসিরের বাগানে গাছে গাছে বীজবিহীন কুল

দেশে প্রথমবারের মতো মাগুরা সদরের রাউতড়া গ্রামে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ হচ্ছে বিচি বিহীন কুল চাষ। এ কুলের রঙ অনেকাংশে লাল কিছুটা সবুজ। আমাদের দেশি কুলের থেকে এর স্বাদ খুবই মিষ্টি। সাধারণত দেশি কুলের ভেতরে আঁটি বা বিচি থাকে কিন্তু এই কুলের মধ্যে কোনো আঁটি বা বিচি নেই। সরজমিনে গেয়ে দেখা গেল, রাউতড়া গ্রামের উদ্যোক্তা চাষি নাসির জানান, আমি একজন মিশ্র ফল চাষি। থাই পেয়ারা, ড্রাগন, ভিয়েতনাম নারিকেল, কমলা, মাল্টা, বল সুন্দরী কুল, বাউকুল, কাশ্মীরি কুল ও আগাম টক কুল চাষ রয়েছে আমার। তাই আমি এবার বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চাষ শুরু করেছি বিচিবিহীন কুল। যা ইতিমধ্যে সারাদেশে সাড়া ফেলেছে।

কৃষি বিভাগ বলছে, নাসির আহম্মেদ নতুন জাতের বীজ বিহীন কুল ও উৎপাদিত চারা বিক্রি করে নিজে আর্থিক সফলতা অর্জনের পাশাপাশি দেশের মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণে যথেষ্ঠ ভূমিকা রাখছেন। কৃষি বিভাগও এই জাতটি সম্প্রসারণের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। নাসির আহম্মেদ জানান, ইউটিউব থেকে বীজবিহীন এ কুলের সন্ধান পান তিনি। পরে গত বছরের এপ্রিলে ভারত থেকে দুই হাজার চারা সংগ্রহ করে তার চার একর জমিতে রোপণ করেন। চার-পাঁচ মাসের মধ্যে গাছে ফুল আসে। ফুল থেকে প্রতিটি গাছে প্রচুর কুল ধরে। বর্তমানে বাগানের প্রতিটি গাছে পাকা কুল শোভা পাচ্ছে। ইতোমধ্যে পাকা এ কুল তিনি বাজারজাত করতে শুরু করেছেন।

আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তবে চলতি মৌসুমে ১৮-২০ লাখ টাকার ফল বিক্রি হবে বলে আশা করছেন এ উদ্যোক্তা। নাসির বলেন, মে মাসের শুরুতে এ চারাগুলো রোপণ করি। চার মাসের মাথায় আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে গাছে ফুল আসতে শুরু করে। ফল আসে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে। যা পরিপূর্ণ কুলে পরিণত হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষে ও জানুয়ারির প্রথম দিকে। সূর্য উজ্জ্বল জায়গায় নিয়মিত ভালো পরিচর্যা করলে এই গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে গাছে ফুল আসার সঙ্গে সঙ্গে বাড়াতে হবে পরিচর্যাও। তবে পোকার আক্রমণ থেকে গাছকে বাঁচাতে স্প্রে করার পাশাপাশি নিয়মিত কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়েছেন বলেও জানান নাসির।

Advertisement