Homeফুটবলধোনির মেয়ের গায়ে মেসির সই করা জার্সি

ধোনির মেয়ের গায়ে মেসির সই করা জার্সি

রুদ্ধশ্বাস মহাকাব্যিক ফাইনালে অবশেষে জয়। ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে দিয়েগো মারাদোনাকে ছুঁয়েছিলেন মেসি। কিলিয়ান এমবাপের লড়াইয়ের পরেও ফাইনাল জিতেছিল আর্জেন্টিনা। টাইব্রেকারে সেই আর্জেন্টিনার ত্রাতা হয়ে দেখা দিয়েছিলেন সেই এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।

সাত বছরের জিভা সিং ধোনি ওর জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার পেয়ে গেল। স্বভাবতই আনন্দে আত্মহারা মহেন্দ্র সিং ধোনির কন্যা। কী সেই উপহার? আসলে বিশ্বকাপ জয়ী লিওনেল মেসির সই করা আর্জেন্টিনার জার্সি উপহার পেয়েছেন একরত্তি মেয়ে। ‘ক্যাপ্টেন কুল’-এর জন্য সেই উপহার পাঠিয়েছেন খোদ ‘এল এম টেন’। সেই ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছে ধোনির কন্যা জিভা।

মেসির অটোগ্রাফ দেওয়া জার্সি পরে হাসি মুখে ছবি পোস্ট করেছে উচ্ছ্বসিত জিভা। এটাই যেন তার বড়দিনের সেরা উপহার। ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে সাত বছরের জিভা লিখেছে, ‘যেমন বাবা, তেমন মেয়ে।’ অর্থাৎ বাবা ধোনিও যে মেসিভক্ত, সেটাই বুঝিয়ে দিল জিভা। দুটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, অটোগ্রাফের পাশাপাশি লেখা, ‘প্যারা জিভা’। যার অর্থ জিভার জন্য। ধোনিকন্যার মুখের মিষ্টি হাসি মন কেড়েছে নেটিজেনদের।

৩৫ বছরের মেসির ম্যাজিকে মোহিত গোটা বিশ্ব। সেটাই যে স্বাভাবিক। কারণ দীর্ঘ ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে শুধু তিনি বিশ্বজয়ী হয়েই ক্ষান্ত থাকেননি। ছুঁয়েছেন তাঁর ফুটবল আইডল দিয়েগো মারাদোনাকে। সেই মানুষটির কাছ থেকে উপহার পাওয়া গেলে, ছোট্ট জিভা তো উচ্ছ্বসিত হবেই। নীল-সাদা জার্সিতে আবার জিভা-র জন্য সই করেছেন মেসি।

তিনযুগের শাপমুক্তি ঘটিয়ে আর্জেন্টিনাকে সাধের বিশ্বকাপ এনে দিয়েছেন মেসি। ১৯৮৬ সালের পর দেশে বিশ্বকাপ ট্রফি আসতেই আনন্দের জোয়ারে ভেসেছিলেন আর্জেন্টিনার বাসিন্দারা। তবে শুধু মারাদোনার দেশই নয়, ফুটবল নিয়ে পাগলামি কম হয়নি ভারতেও। তাই তো মেসির বিশ্বজয়ের আনন্দে কয়েকদিন ধরে সেলিব্রেশন চলেছে বিভিন্ন প্রান্তে। মেসি বন্দনায় মজেছিল গোটা দুনিয়া, সেই মহাতারকাই কি না ধোনিকন্যার জন্য সই করা জার্সি পাঠিয়েছেন।

রুদ্ধশ্বাস মহাকাব্যিক ফাইনালে অবশেষে জয়। ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে দিয়েগো মারাদোনাকে ছুঁয়েছিলেন মেসি। কিলিয়ান এমবাপের লড়াইয়ের পরেও ফাইনাল জিতেছিল আর্জেন্টিনা। টাইব্রেকারে সেই আর্জেন্টিনার ত্রাতা হয়ে দেখা দিয়েছিলেন সেই এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। বিশ্বকাপের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে সেরা ফাইনাল। গোটা ম্যাচ জুড়ে বার বার বদলেছিল খেলার রং। প্রথমার্ধে মেসি ও আঞ্জেল ডি মারিয়ার গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ৮০ ও ৮২ মিনিটে জোড়া গোল করেছিলেন ফ্রান্সের তারকা।

অতিরিক্ত সময়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করলেন মেসি। খেলা শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেছিলেন এমবাপে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে হয়েছিল ফাইনালের ফয়সালা। সেখানে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতে কাতার ছেড়েছিল আর্জেন্টিনা।

সূত্র: জিনিউজ।

Advertisement