Homeসব খবরজাতীয়দেশে অনুমোদন পেল রাশিয়ার টিকা

দেশে অনুমোদন পেল রাশিয়ার টিকা

রাশিয়ার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা স্পুটনিক-ভি এর জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত জরুরি জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রের ওষুধ, পরীক্ষামূলক ওষুধ, টিকা ও মেডিকেল সরঞ্জামবিষয়ক কমিটি এই অনুমোদন দিয়েছে। মঙ্গলবার ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের এক সভায় টিকা অনুমোদনের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এখন থেকে রাশিয়ার এই টিকা আমদানি ও ব্যবহারে আইনগত বাধা থাকল না।

ঔষধ প্রশাসনের স্পুটনিক-ভি টিকার বিষয়ে সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশে অনুমোদন পাওয়া টিকার সংখ্যা দাঁড়াল দুটি। এর আগে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত জরুরি জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রের ওষুধ, পরীক্ষামূলক ওষুধ, টিকা ও মেডিকেল সরঞ্জামবিষয়ক কমিটি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছিল।

উল্লেখ্য, দেশের শীর্ষ স্থানীয় জনস্বাস্থ্যবিদ, টিকা বিশেষজ্ঞ, ওষুধবিজ্ঞানী ও রোগতত্ত্ববিদেরা এই কমিটির সদস্য।

এর আগে, অক্সফোর্ডের তিন কোটি ডোজ টিকা আনতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে গত বছরের ৫ নভেম্বর চুক্তি হয়েছিল বাংলাদেশের। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে ৩ কোটি ডোজ টিকা রফতানি করার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত টিকা এসেছে মোট এক কেটি দুই লাখ ডোজ। এর মধ্যে ভারত সরকারের উপহার হিসেবে গত ২১ জানুয়ারি প্রথমে আসে ২০ লাখ ডোজ। সরকারের অর্থে কেনা টিকার প্রথম চালানে ২৫ জানুয়ারি আসে ৫০ লাখ ডোজ, ফেব্রুয়ারি মাসের ২৩ তারিখ আসে আরও ২০ লাখ ডোজ এবং সর্বশেষ গত ২৬ মার্চ আসে ১২ লাখ ডোজ। অর্থাৎ, ভারত থেকে কেনা ও উপহার মিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট টিকা এসেছে এক কোটি দুই লাখ ডোজ।

দেশে গত সাত ফেব্রুয়ারি থেকে গণ-টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। গত ৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয় টিকার দ্বিতীয় ডোজ। তবে ভারত থেকে গত ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য চুক্তির ৩০ লাখ এবং মার্চ মাসের ৫০ লাখ- অর্থাৎ চুক্তির ৮০ লাখ টিকা এখনও দেশে আসেনি। এপ্রিল মাসে টিকা আসার সম্ভাবনা এখনও পর্যন্ত নেই।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, দেশে এখন ৪৯ লাখের মতো টিকা মজুত রয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ নেয়া বাকি রয়েছে প্রায় ৪৩ লাখ ৪৭ হাজার ৪৮১ ডোজ। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়া অব্যাহত থাকলে মজুত ফুরিয়ে যাবে আগামী একমাসের মধ্যে।

Advertisement