Homeসব খবরজেলার খবরদুর্গম চরাঞ্চলে তরমুজ চাষে কৃষকদের ভাগ্যবদল

দুর্গম চরাঞ্চলে তরমুজ চাষে কৃষকদের ভাগ্যবদল

এবছর অতি বৃষ্টি ও বন্যার কবলে না পড়লে দীর্ঘদিন ফলন পাওয়া যাবে বলে কৃষকের আশা। আর সঠিক বাজারদর ও সরকার আর্থিকভাবে সহজ উপায়ে ঋণ দিলে চরের জমিতে সোনার ফসল ফলিয়ে নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন করতে চান কৃষকরা। তরমুজ চাষে ব্রহ্মপুত্র চরের চাষিরা আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন। গত বছর পরিক্ষামূলক চাষে সফল হওয়ায় এবার বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেছেন চাষিরা।

কুড়িগ্রাম ব্রহ্মপুত্র নদীর চরাঞ্চল গুলোতে তরমুজের ব্যাপক ফলন পাওয়া গেছে। গত বছর জেলার উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের চর বাগুয়া গ্রামে ৫০ একর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছিল। পরে বন্যায় ৪০ একর জমি নষ্ট হয়ে যায়। চাষিরা গত বছরের লোকসান ভূলে এবছর আবারো তরমুজের চাষ করেছেন। এবছর আরো বেশি জমিতে এই ফলের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন হয়েছে। বিপনন সমস্যা দূর করতে সরকারের সাহায্য চান চাষিরা। ফলন ভালো হলেও উৎপাদিত ফসল বিপনন সমস্যার কারণে অনেকে চাষ না করে জমি ফেলে রেখেছেন।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, কুড়িগ্রা জেলায় ১৬ টি নদ-নদীর তীরে প্রায় সাড়ে ৪ শতাধিক চর রয়েছে। কৃষকরা ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ, মিষ্টি কুমড়া, শশা ও মরিচসহ আরো অনেক সবজির চাষ করছেন। চরগুলোতে প্রায় ৪৫ হাজার হেক্টর আবাদি জমি রয়েছে।

দছিম উদ্দিন বলেন, আমাদের চরের ৩ জন কৃষক প্রায় ৪০ একর জমিতে তরুমুজের চাষ করেছেন। তাদের দেখাদেখি অনেকেই তরমুজের চাষ করা শুরু করেছেন। তারা ব্যাংক থেকে বেশি টাকা ঋণ পাওয়ায় এমন বড় আকারে চাষ করতে পেরেছেন।

চাষী আব্দুর সবুর বলেন, আমি গত বছর পরিক্ষামূলকভাবে তরমুজের চাষ করেছিলাম। ফলন ভালো হতেই ছিল হঠাৎ বন্যার কারণে সব ভেসে যায়। এবছর ১৪ একর জমিতে আগাম জাতের তরমুজের চাষ করেছি। চাষে আমার ৬-৭ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তবে বিপনন ব্যবস্থার উন্নতি থাকলে আরো বেশি লাভবান হতে পারতাম। আশা করছি লাভবান হবো। তবে তার কম দাম দিয়ে। আমরা যদি শহরে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতে পারতাম তাহলে আরো বেশি লাভ হতো। পাইকাররা জমিতে এসে তরমুজ কিনে নিয়ে যায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শষ্য) আজিজুল ইসলাম বলেন, গত বছর চরের চাষিরা পরিক্ষামূলক চাষ করেছিলেন। তবে তখন বন্যার কারনে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। কৃষকরা হার না মেনে এবছর বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেছেন। আশা করছি লাভবান হতে পারবেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন পেয়েছেন।

Advertisement