Homeসব খবরজেলার খবরতেলাপিয়া মাছ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে যশোরের চাষিরা

তেলাপিয়া মাছ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে যশোরের চাষিরা

তেলাপিয়া মাছ চাষে খরচ বৃদ্ধি পেলেও প্রত্যাশা মত দাম না পাওয়ায় লোকসানের মুখে মৎস্য চাষিরা। যার ফলে আগ্রহ হারাচ্ছে মনোসেক্স তেলাপিয়া মাছ। মাছের খাবারসহ অন্যান্য উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি কারণে যশোরে কমেছে মনোসেক্স তেলাপিয়া মাছের চাষ।

জানা যায়, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে জেলায় ২ লাখ ৩১ হাজার ১৪৩ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে তেলাপিয়া মাছের উৎপাদন ছিল ১৯ হাজার ৭১০ মেট্রিক টন। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ২ লাখ ৩২ হাজার ৭০৯ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়, যার মধ্যে তেলাপিয়া ছিল ১২ হাজার ২৬৩ মেট্রিক টন। প্রান্তিক পর্যায়ে তেলাপিয়া মাছের চাষ কমে গেছে।

অভয়নগর উপজেলার সুন্দরবন মৎস্য হ্যাচারির মালিক শরিফুজ্জামান ফারাজী বলেন, করোনার পর থেকে তেলাপিয়া মাছের চাহিদা কমে গিয়েছে। চলতি মৌসুমের শুরুর দিকে কিছু পোনা উৎপাদন করে ছিলাম। কিন্তু বিক্রি হয়নি। পোনাগুলো নষ্ট হয়েছে। এ জন্য হ্যাচারি বন্ধ করে দিয়েছি।

হারুন অর রশীদ বলেন, তেলাপিয়া মাছ উৎপাদনে বিশেষ অবদান রাখায় আমি ২ বার রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু বর্তমানে তেলাপিয়া অবস্থা নাজুক। ১ কেজি মাছের উৎপাদনে ব্যয় হচ্ছে মোট ১৬৭ টাকা। সেখানে ৩টি মাছে কেজি সাইজের ১ কেজি মাছের পাইকারি দাম পাওয়া যাচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। প্রাপ্তি অনুযায় লাভ হচ্ছে না। তাই তেলাপিয়া মাছ চাষ কমিয়ে দিয়েছি।

অভয়নগরের গাজী মনোসেক্স তেলাপিয়া হ্যাচারির মালিক ইমাদ উদ্দীন বলেন, চলতি মৌসুমে ২০ হাজার তেলাপিয়ার পোনা উৎপাদন করেছিলাম। অর্ধেকের মতো বিক্রি হয়েছে। বাকি অর্ধেক নষ্ট হয়েছে। এতে দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ জন্য তেলাপিয়া পোনা উৎপাদন বন্ধ করে দিচ্ছি।

কোয়ালিটি ফিড লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবদুর রহিম বলেন, করোনা পরিস্থিতির পর থেকে মাছের খাবারের দাম কেজিতে ২০ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানি থেকে এখন বাকিতে খাবার বিক্রি কমানো হয়েছে। মাছ উৎপাদনের জন্য পুকুরে শুধু খাবার দেওয়াটাই শেষ কথা নয়। পুকুরের পানি ও মাটির গুণগত মান, অক্সিজেনের মাত্রা, খাবারের ব্যবহারবিধি ঠিকমতো অনুসরণ করতে হবে।

Advertisement