Homeসব খবরজাতীয়তাপপ্রবাহ শেষেই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা

তাপপ্রবাহ শেষেই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা

দুই সপ্তাহ ধরে টানা দাপদাহ চলছে দেশজুড়ে। চরম গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। হাসপাতালে হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত নানান রোগের রোগী।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সম্প্রতি সূর্য সরাসরি কিরণ ফেলছে ভারতীয় উপমহাদেশে। এরই মধ্যে বঙ্গোপসাগর থেকেও তেমন বাতাস না আসায় আসছে না জলীয় বাষ্প। ফলে আকাশে মেঘ না থাকায় কিরণ ফেলতে কোথাও বাধাও পাচ্ছে সূর্য। অপরদিকে সমুদ্রের জলীয় বাষ্পের ঘাটতি কাটাতে দেশের ভেতরেও নেই তেমন পানির সংস্থান। এতে তৈরি হচ্ছেন বৃষ্টির সম্ভাবনাও। যা সংকটকে নিয়েছে আরও তীব্রতায়।

এদিকে শুধু ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রাই বেশি নয়। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের গড় তাপমাত্রা রয়েছে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। অথচ তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রির বেশি হলেই সমুদ্রে তৈরি হতে পারে ঝড়। সে হিসেবে অন্তত ৩ ডিগ্রি বেশি রয়েছে সমুদ্রের তাপমাত্রা। যা খুব শিগগরিই বড় ধরনের ঝড়ের সৃষ্টি করবে বলে শঙ্কা দুর্যোগ বিশেষজ্ঞদের।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ ড. বিশ্বজিৎ নাথ বাংলাভিনকে বলেন, ওশেনে এখন এভারেজ তাপমাত্রা রয়েছে ২৯.৫ ডিগ্রি। এটা নরমাল থেকে অনেক বেশি। নরমাল ২৫-২৬ ডিগ্রি থাকার কথা। এখন যা আছে আছে এটা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য আইডিয়াল গ্রাউন্ড।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গোপসাগরে অতিসম্প্রতি বেশ কিছু ভূমিকম্প হয়েছে। এর কারণে সমুদ্রে বেশ কিছু এনমালিজ হয়েছে। এতে জোন বা জায়গাভেদে তাপমাত্রারও ভিন্নতা তৈরি হয়েছে। এর কারণে যে কোনো সময় ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হতে পারে। তবে এপ্রিলের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। মে মাসের শুরু বা মধ্যবর্তী সময়ে সাগরে লঘুচাপের সৃষ্টি হবে এবং সেটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ পেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

তবে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান বলেন, এখনই লঘুচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা এখনো তেমন কোনো পূর্বাভাস দেখছি না। তবে এখন সমুদ্রে যে তাপমাত্রা আছে তা শক্তিশালী ঝড় সৃষ্টির জন্য উপযুক্ত পরিবেশ। হয়তো খুব শিগগরিই তেমন কোনো পূর্বাভাস দেখা যেতে পারে। তবে সেটা এপ্রিলের মধ্যে হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন:

Advertisement