Homeসব খবরজেলার খবরতরমুজ চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

তরমুজ চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

কৃষক পরিবার ঘরে বসে নেই। নারীরাও কাজে নেমে পড়েছেন। গত বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হওয়ায় এ বছর কৃষকেরা তরমুজ চাষে বেশি আগ্রহী হচ্ছেন। ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় গ্রামাঞ্চলে তরমুজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।

উপজেলার নবাবপুর, সোনাগাজী সদর, আমিরাবাদ, চরদরবেশ, চরচান্দিয়া ইউনিয়নে এ বছর ৫৭০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষাবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। গত বছর ছিল ৩৪৫ হেক্টর। এ বছর ৫৭০ হেক্টর জমিতে বেশি তরমুজ চাষ হবে আশা করছেন উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার প্রতাফ চন্দ্র নাথ।

এদিকে এ বছর সার, বীজ ও কী/টনাশকের দাম গত বছরের তুলনায় বেশি। দাম বেশি থাকায় কৃষকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। ৫০ কেজির এক বস্তা টিএসপি সার এক হাজার ৫০০ থেকে এক হাজার ৭০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। বস্তা প্রতি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে কৃষকদের।

সরকারি ভাবে ৫০ কেজির এক বস্তা টিএসপি সারের দাম এক হাজার ১০০ টাকা। কিন্তু তরমুজ চাষে কৃষকেরা বেশি আগ্রহী হওয়ায় সুযোগে সার ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট গড়ে বেশি দামে সার বিক্রি করছে এমন অভিযোগ কৃষকদের।

অপর দিকে বাজারে এক কৌটা (১০০ গ্রাম) বিঘ ফ্যামিলি ৩০০০ টাকা, জাগুয়া ৩২০০ টাকা ও এশিয়ান বীজ ৩১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত বছর একই বীজের দাম ছিল ২৫০০-২৭০০ টাকা।

সোনাগাজী থেকে তরমুজ রপ্তানি করে চট্রগ্রামের চকরিয়া, পটিয়া, ফলমন্ডি, সাতকানিয়া বিভিন্ন বাজারে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। কৃষকেরা মাঠে কাজ করছেন। মাঠের পর মাঠ চাষাবাদ করে তরমুজ বীজ বপনের জন্য গর্ত তৈরি করছেন।

তরমুজ চাষী শাহজান বলেন, এবার ৩০ একর জমিতে তরমুজ চাষ করছি। এখনো চাষাবাদ চলছে। গত বছর ২০ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছিলাম। ওই বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হওয়ায় এ বছর বেশি চাষ করছি।

সোনাগাজী উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার প্রতাফ চন্দ্র নাথ বলেন, গত বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হওয়ায় এ বছর কৃষকেরা বেশি তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন।

Advertisement