Homeসব খবরজেলার খবরটিয়া ও টিয়া সুপার জাতের করলা চাষে স্বাবলম্বী শ্রীমঙ্গলের...

টিয়া ও টিয়া সুপার জাতের করলা চাষে স্বাবলম্বী শ্রীমঙ্গলের কৃষকরা

গ্রামের ভিতর প্রবেশের পর দৃষ্টিজুড়ে দেখা মেলে করলা ক্ষেত। সবুজ পাতায় ঘেরা মাচায় থরে থরে ঝুলছে করলা। করলা চাষে কৃষকরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের একটি গ্রামে কৃষকরা অনেক বছর ধরে করলা চাষে বাম্পার ফলন পাচ্ছেন। ফলে এ গ্রাম ‘‘করল গ্রাম’ নামে ও পরিচিত।

শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের গ্রামটিতে শতাধিক একর জমিতে লালতীর সীডের টিয়া ও টিয়া সুপার জাতের করলা চাষ করেছেন কৃষকরা। পাশাপাশি ক্ষেতে মজুরি দিয়ে লাভবান হচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। করলা চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন শতাধিক কৃষক।

করলা চাষি মো. নসু মিয়া বলেন, আমি প্রথমে পাড়ের টং গ্রামে লাল তীর সীডের টিয়া জাতের করলা বীজ বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করি। পরে তার ভালো ফলন দেখে অনেকে করলা চাষ শুরু করি। গ্রামের অনেক মানুষ এখন করলা চাষ করছেন। এখনও কেউ আমার কাছে পরামর্শ নিতে আসলে আমি সাহায্য করি। তারা স্বাবলম্বী হচ্ছেন এটা দেখে আমার ভালো লাগে।

পাড়ের টং কালেকশন পয়েন্ট বাজারের সাধারণ সম্পাদক মো. হামদুল হক বলেন, এখানে আমরা একটা দাম নির্ধারণ করে দেই। প্রতিদিন ৮-১০ হাজার কেজি করলা এই পয়েন্ট থেকে বিক্রি হয়ে থাকে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা সেই দামে সবজি কিনে নিয়ে যান।

লালতীর সীড লিমিটেডের ডিভিশনাল ম্যানেজার তাপস চক্রবর্তী বলেন, আমরা এই গ্রামের চাষিদের কাছে প্রথমে টিয়া ও পরে টিয়া সুপার জাতের করলা চাষ করার পরামর্শ দেই। এতে তারা ভালো ফলন পেয়েছেন। করলার টিয়া ও টিয়া সুপার একটি হাইব্রিড জাত। প্রতি একরে ১২-১৩ টন ফলন পাওয়া যায়। রোপণের ৪২-৪৫ দিনের মধ্যে ফসল সংগ্রহ শুরু করা যায়। প্রতিটি ফল ২৮-৩০ সেন্টিমিটার লম্বা। ওজনে ২৫০-২৮০ গ্রাম।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মহিউদ্দিন বলেন, করলা চাষ লাভজনক হওয়ার কারণে দিন দিন এর উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ৯০ শতাংশই পাড়ের টং গ্রামে। শ্রীমঙ্গল উপজেলায় চলতি বছর ৩০ হেক্টরের বেশি জমিতে করলা চাষ হয়েছে।

Advertisement