Homeসব খবরজাতীয়টানা তিন সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর আগামীকাল থেকে চলবে...

টানা তিন সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর আগামীকাল থেকে চলবে গণপরিবহন

রোজার ঈদ সামনে রেখে বৃহস্পতিবার থেকে ‘শর্ত সাপেক্ষে’ চালু করা হচ্ছে গণপরিবহন। তবে শর্ত হলো- সিটি সার্ভিস ও জেলার বাস সার্ভিস অন্য জেলায় প্রবেশ করতে পারবে না। বাস ছাড়ার আগে সম্পূর্ণ স্বাস্থবিধি মেনে পুরো বাসে জীবাণুনাশক ছিটাতে হবে।

যাত্রী, বাসচালক ও সহকারীকে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক সিট খালি রেখে গণপরিবহন চালাতে হবে। গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি মিললেও বাস মালিকরা সরকারের কাছ থেকে কোনো নির্দেশনা পাননি। বলে জানান এক জেলা থেকে অন্য জেলায় গণপরিবহন বন্ধ রাখার পক্ষেও নন তারা।

এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘সরকার যেভাবে নির্দেশনা দেবে আমরা সেভাবেই বাস চালাব। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যাত্রীবাহী বাস কীভাবে চলবে তা স্পষ্ট করে শিগগির প্রজ্ঞাপন জারি হবে।

এরপরই বলা যাবে কোন কোন রুটে, কীভাবে গণপরিবহন চলবে। বিআরটিএ সূত্র জানায়, প্রজ্ঞাপনে বাস চলাচলের সব নির্দেশনা দেওয়া হবে। যার মধ্যে প্রথমেই থাকছে সিটি সার্ভিস ও জেলার বাস সার্ভিস।

অন্য জেলায় প্রবেশ করতে না পারার বিষয়টি। এ ছাড়া বাস ছাড়ার আগে পুরো বাসে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। যাত্রী, বাসচালক ও সহকারীকে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক সিট খালি রেখে গণপরিবহন চালাতে হবে।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকেদের মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্তসাপেক্ষে আগামী ৬ মে থেকে জেলার ভেতরে গণপরিবহন চলবে। তবে গণপরিবহন জেলার ভেতরে চলাচল করতে পারবে। আন্তজেলা চলাচল করবে না।

তিনি বলেন, মালিক সমিতি আমাদের কথা দিয়েছে, কোনোভাবে গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করা হবে না। তাহলে বন্ধ করে দেওয়া হবে। এটা আমরা দেখব। লঞ্চ এবং ট্রেন বন্ধ থাকবে। যেহেতু ওগুলো এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যায়। সুতরাং বন্ধ থাকবে।

Advertisement