Homeসব খবরজেলার খবরটমেটোর অধিক ফলন ও বাজারদর বেশি থাকায় দ্বিগুণ লাভবান...

টমেটোর অধিক ফলন ও বাজারদর বেশি থাকায় দ্বিগুণ লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা

ভালো ফলনের পাশাপাশি বাজারদর বেশি থাকায় কৃষকরা দ্বিগুণ লাভবান হচ্ছেন। টমেটোর অধিক ফলনে চান্দিনার কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। গত বছর লোকসানের মুখে পড়লেও এবার ভালো ফলন পাওয়ায় তা পুষিয়ে নিয়ে লাভের আশা করছেন তারা।

কুমিল্লা জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে চান্দিনায় সবচেয়ে বেশি টমেটোর চাষ করা হয়। চান্দিনা পৌরসভার প্রায় ৮টি ইউনিয়নের চাষিরা টমেটোর চাষ করছেন। আবহাওয়া ভালো থাকায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ফলন বেশি পেয়েছেন। ফলনের পাশাপাশি প্রথম দিকে প্রতিমণ ১৭০০-২০০০ টাকা ও বর্তমানে ৮০০-১০০০ দরে বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হতে পারছেন। এখানকার উৎপাদিত টমেটো রাজধানী ঢাকার কাওরান বাজার, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, রংপুরসহ বিভিন্নস্থান থেকে পাইকাররা এসে নিয়ে যাচ্ছেন।

টমেটো চাষিরা জানিয়েছেন, গত বছর আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় টমেটো চাষ করে তারা তেমন লাভবান হতে পাড়েননি। এ বছর তাদের সেই ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখ দেখছেন।

চান্দিনা পৌরসভার শ্রীমন্তপুর গ্রামের মোবারক হোসেন বলেন, আমি এবছর ১৩০ শতাংশ জমিতে টমেটোর চাষ করেছি। চাষে আমার প্রায় আড়াই লাখ টাকার খরচ হয়েছে। আশা করছি আরো ১ লাখ টাকার বিক্রি করতে পারবো। এখন পর্যন্ত সাড়ে ৩ লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করছি।

অপর আরেক চাষি মোঃ মুনাফ ব্যাপারী বলেন, চলতি বছর আমি ১৫০ শতক জমিতে টমেটোর চাষ করেছি। চাষে প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪ লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছি। গাছে কোনো রোগ বালাই না হলে আরো ১ লাখ টাকার বিক্রি করতে পারবো।

রাজধানী ঢাকার পাইকার মনির হোসেন বলেন, কুমিল্লা উৎপাদিত প্রায় সব সবজিই সুস্বাদু। তাই এর চাহিদা বেশি। আমি এখান থেকে টমেটো নিয়ে ঢাকায় বিক্রি করি। স্বাদে ও গুণে ভালো হওয়ায় এখানকার টমেটো খেতে ক্রেতাদের বেশি আগ্রহী।

চান্দিনা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম রোমেল বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর কৃষকরা টমেটোর বেশি ফলন পেয়েছেন। এতে টমেটো আবাদ করে কৃষকরা খুবই খুশি। এর চাষ লাভজনক হওয়ায় দিন দিন কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। কৃষকরা প্রতি হেক্টরে ৮০-৮৫ মেট্রিক টন ফলন পেয়েছেন।

Advertisement