উৎপাদিত শিম স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা, উপজেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। শিমের বাম্পার ফলন ও বাজারে ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের কৃষকরা জমিতে জৈব সার ব্যবহার করে শিমের বাম্পার ফলন পেয়েছেন। এই উপজেলার মাটি শিম চাষের উপযোগী হওয়ায় দিন দিন শিমের চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অনুকূল আবহাওয়া ও উর্বর মাটি হওয়ায় ঝিনাইদহে বিপুল পরিমাণে বিভিন্ন ধরণের সবজির চাষ হয়। অন্য ফসলের পাশাপাশি জৈব সার ব্যবহারে শিম চাষ করছেন চাষিরা। পাশাপাশি চাষাবাদে কৃষকদের প্রশিক্ষণসহ সব ধরণের সহায়তা করছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। বাজারে শিমের দাম ভালো থাকায় দিন দিন শিম চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা।
চাষি আব্দুল হামিদ বলেন, আমি ১ বিঘা জমিতে শিমের চাষ করি। বিষমুক্ত শিম চাষের উদ্দেশ্যে শুধু মাত্র জৈব সার ব্যবহার করেছি। এবছর শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। আর বাজারে প্রতি কেজি শিম ১০০-১১০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারছি। শিম চাষে ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
কয়েকজন শিম চাষি বলেন, অন্যান্য ফসলের থেকে শিম চাস খুব লাভজনক। প্রচুর ফলন হয় আর বাজারদরও ভালো থাকে। তবে আগের তুলনায় বর্তমানে চাষে খরচ বেশি হচ্ছে। ফলে লাভের পরিমানও কমে গেছে। ফলে আমরা লাভবান হতে পারি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এবছর জৈব সার দিয়ে কোটচাঁদপুরে প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন শিমের চাষ হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে জৈব সার ব্যবহার করে অর্গানিক পদ্ধতিতে নিরাপদ সবজি চাষ চলছে। ফলে এখানকার উৎপাদিত শিমের চাহিদা রয়েছে দেশের বিভিন্ন বাজারে।