Homeসব খবরক্রিকেটজিম্বাবুয়ে সফরে সিনিয়ররা ছুটি চাইলে বিবেচনা করবে বোর্ড

জিম্বাবুয়ে সফরে সিনিয়ররা ছুটি চাইলে বিবেচনা করবে বোর্ড

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজ শেষ করে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা এখন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) নিয়ে ব্যস্ত। এই প্রেস্টিজিয়াস লিগ শেষে একটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও চারটি টি-টোয়েন্টি খেলতে সাকিব-তামিমদের জিম্বাবুয়ে সফরে যাবে। তবে একাধিক সিনিয়র ক্রিকেটার এই সফরে নাও যেতে পারে। শোনা যাচ্ছে, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালের মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররা বোর্ডের কাছে ছুটি চাইবেন। দীর্ঘ সময় জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা এর প্রধান কারণ।

টানা খেলার ক্লান্তি আর ব্যস্ত শিডিউলকে মাথায় রেখে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে ক্রিকেটাররা বিশ্রাম চাইলে বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নিশ্চিত করেছেন নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক। এ ছাড়া ক্রিকেটাররা চাইলে পরিবারকে নিয়েও জিম্বাবুয়ে যাওয়ার সুযোগ রেখেছে বোর্ড।

বদলে যাওয়া পৃথিবীতে এখন আর কোনোকিছুই নেই আগের মতো। বাস্তবতা মেনে মাঠে খেলা ফিরেছে ঠিকই তবে বায়োবাবল নামক আবদ্ধ দুনিয়ায় রুদ্ধ ক্রিকেটারদের স্বাভাবিক জীবন। বিচ্ছিন্ন পরিবার থেকে, বিচ্ছিন্ন স্বাভাবিক জীবনও।

ক্রিকেটারদের ব্যস্ত শিডিউলের শুরুটা গেল বছর অক্টোবরে। এরপর গত ৮ মাসে দুটি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট ও ৪টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছে টাইগাররা। সবই হয়েছে বায়োবাবলে। চলছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, এরপরই জিম্বাবুয়ের মাটিতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ।

এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছাড়াও আছে আরও ৪ সিরিজ। পরিস্থিতি উন্নতি না হলে সবই হবে বায়োবাবলে। টানা ম্যাচে ক্লান্তি আর পরিবার থেকে এত দীর্ঘসময় দূরে থাকায়, ক্রিকেটাররা ভুগতে পারেন অবসাদে। যার প্রভাব পরতে পারে ম্যাচে। তাইতো আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজে কেউ ছুটি চাইলে বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবেই নেবে বিসিবি।

বিসিবির নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল জৈবসুরক্ষা বলয়ে থাকা। যারা জাতীয় দলে নিয়মিত ক্রিকেটার তারা অনেক দিন এই বলয়ে। আর কতদিন ধরে এই বলয়ে থাকবে, সেটা হিসেব করে দেখেন আসলেই কঠিন বিষয়। তাদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিশ্রাম দেওয়ার কথা চিন্তা করা হচ্ছে।’তবে বিকল্প একটা ভাবনাও আছে বোর্ডের। ক্রিকেটারদের চাঙা রাখতে জিম্বাবুয়ে সফরে অনুমতি দিচ্ছে পরিবারকে সঙ্গে নেওয়ার।

Advertisement