Homeঅন্যান্যজাহাঙ্গীরনগরে আসতে শুরু করেছে অতিথি পাখি

জাহাঙ্গীরনগরে আসতে শুরু করেছে অতিথি পাখি

শীত আসতে না আসতেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিলগুলোতে দেখা যাচ্ছে অতিথি পাখিদের আনাগোনা। তবে তাদের সংখ্যা এখনও খুব বেশি নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি বিলে সচরাচর অতিথি পাখিদের বসতে দেখা যায়। এবার মাত্র একটি বিলে দেখা মিলছে এদের।

কারো কাছে ওরা অতিথি পাখি। কেউ বলেন, পরিযায়ী। শীতের মিষ্টি রোদে বিলের পানিতে রঙিন শাপলার ফাঁকে তাদের জলকেলি প্রকৃতিতে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। উড়ে আসে দূরদুরান্ত থেকে। ছড়িয়ে যায় দেশের নদী-খাল-বিলে। জানান দেয় শীতের বার্তা। এবারও সেই বার্তা নিয়ে এসেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিলে। তবে সংখ্যা বেশ কম।

নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য অতিথি পাখিরা দলবেঁধে হিমালয় বা এরও উত্তরাঞ্চল থেকে হাজারো মাইল পাড়ি দিয়ে আসে এখানে। ক্যাম্পাসে ২৬টি বিল থাকলেও পাখিদের দেখা মেলে মাত্র চাটিতে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল হাসান খান বলেন, আগে এখানে লনেজা, নীলপাখি, পাখিহাঁস, ভুতিহাঁস এগুলো অনেক বেশি দেখতাম, আমাদের যদিও সর্বোপরি সংখ্যা কমেনি। কিন্তু দূরবর্তী যে হাঁসের সংখ্যা খুবই কমে গেছে। পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কমে যাওয়ার প্রভাব পড়ছে মানবজীবনেও।

তিনি আরও বলেন, নদীর মোহনায় যখন একট চর জাগে সেখানে কোনো উদ্ভিদ জন্মাতে পারে না। এই পাখিগুলো সেখানে প্রথমে বসে। এই পাখির বিষ্ঠা সেই চরে জমা হয়। এবং এই বিষ্ঠা এই চরের মাটিকে উর্বর করে। এই মাটি যখন উর্বর হয়, তখন সেখানে উদ্ভিদ জন্মায়, প্রাণি জন্ম হয়। একপর্যায়ে মানুষ সেখানে চাষাবাদ শুরু করে। নানা সময়ের জরিপে জাহাঙ্গীরনগরের জলাশয়ে ২০০ প্রজাতির পাখির দেখা মিলত। পরিবেশের বেহাল দশায় এই সংখ্যা অটুট থাকবে কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা।

Advertisement