Homeসব খবরজেলার খবরজয়পুরহাটে ‘ভ্যালেনসিয়া’ জাতের আলুর বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা

জয়পুরহাটে ‘ভ্যালেনসিয়া’ জাতের আলুর বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা

এবার ভ্যালেনসিয়া জাতের আলু চাষ করে বাম্পার ফলনে চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা প্রতিবছর আলু চাষে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাবে কৃষকদের লোকসান গুনতে হয়।

এসিআই সিডের মাধ্যমে দেশে এই প্রথম আলু বীজ বাজারজাত করা হয়। এই আলু ২৫-৩০ দিন আগে বাজারে আসে বলে এর বাজারমূল্য অন্য আলু চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। ফসল উঠানর সময়কাল ৮০-৮৫ দিন দেশে যে জাত চাষ করা হয় তার থেকে ৫-১০ দিন আগে তুলা হয়ে থাকে। প্রতিটি আলুর গড় ওজন প্রায় ১০০ গ্রাম। হেক্টর প্রতি এই আলুর ফলন প্রায় ৩৯ মেট্রিক টন যা আমাদের দেশের আলুর চেয়ে ৪০ ভাগ বেশি।

জানা যায়, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা বাণিজ্যিক প্রক্রিয়াজাত পণ্য উৎপাদনের জন্য দেশে এতদিন পর্যন্ত উপযুক্ত জাতের আলু ছিল না। সাচহাপ হল্যান্ডেরর যে ৫টি জাত বাজারজাত করা হয় তার মধ্যে ভ্যালেনসিয়া জাতটি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরির কাজে বেশি ব্যবহার করা হয়।

কৃষক রাজন জানান, আমি আগে দেশের বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করতাম ফলন কম এবং দাম কম হতো। যেখানে প্রতি বিঘায় উৎপাদন হতো ৭০ থেকে ৮০ মণ। আর খরচ হতো প্রায় ৩২ হাজার টাকা। এইবার প্রথম এসিআই সিডের ভ্যালেনসিয়া ১০ জাতের সাড়ে ৭ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। প্রতি বিঘাতে আমার খরচ পড়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। রো’গবালাই ও খরচ কম হওয়ায় লাভ হবে বেশি আশা করছি। প্রতি বিঘায় ওজন নামবে প্রায় ১০০ থেকে ১২০ মণ।

জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভিন বলেন, এভার ভ্যালেনসিয়া জাতের আলুর ভালো ফলন দেখে আশা করছি এ আলু চাষ করে লোকসান পুষিয়ে কৃষকরা লাভের মুখ দেখবেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সব সময় কৃষকের পাশে থাকেন এবং কৃষকের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকি।

Advertisement