Homeঅন্যান্যজমি নয়, টবেই হবে আলু চাষ!

জমি নয়, টবেই হবে আলু চাষ!

আমরা অনেকেই বাড়ির আঙিনায় বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করতে ভালোবাসি। এই চাষ গুলো বাণিজ্যিকভাবে না করলেও এগুলো দ্বারা পরিবারিক চাহিদা মেটানো সম্ভব। তবে অনেকের চাষ বাস করার ইচ্ছা থাকলেও জায়গার অভাবে তা করা হয় না। বিশেষ করে যারা শহরে বসবাস করে জমির অভাবে তাদের চাষ করা হয় না।

কেননা শহরে চাষবাসের জমি পাওয়াটাই মুশকিলের ব্যাপার। তবে গ্রামীণ জীবনে এধরনের চাষবাস সচরাচর করা হয়। কেননা গ্রামে চাষের জমি সচরাচর থাকার কারণে আমরা প্রায় প্রত্যেকেই সেখানে চাষবাসের সুযোগ পাওয়া যায়।খাবারে সৌখিন এমন অনেকেই আছেন যারা খেতে অনেক পছন্দ করেন এবং অপরকে খাওয়াতেও পছন্দ করেন। এক সময় কালে যখন বিভিন্ন ধরনের রান্না ছিল না তখন মানুষ মাছ, মাংস, ভাত এগুলো খেতেন।

বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রান্না বান্নার কৌশল সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এই কৌশল গুলো জানা এবং দেখার জন্য অধিকাংশ মানুষ ইউটিউব, ফেসবুক দেখে থাকেন অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় এসকল রান্না এবং রান্নার কৌশল সবকিছু সহজে পাওয়া যায়। যার দরুন সকলেই ইচ্ছেমতো এবং তার রুচি মতো বিভিন্ন খাবার বানিয়ে খেতে পারেন। যারা রান্না পারেন না তারাও এ সোশল মেডিয়া থাকে দেখে অনেক রান্না শিখতে পারেন।

বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। আর এখানে কৃষিকাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।বাংলাদেশবিভিন্ন ফসলের মধ্যে আলুর চাহিদা খুব বেশি।আর এইবার আলু চাষে এক অভিনবত্ব এনেছেন হরিয়ানার কৃষক। হরিয়ানার করনালে অবস্থিত এলাকার কৃষকেরা এখন জমি ছাড়া টবে আলু চাষ করছেন।

আর এর ফলে ফলনও হবে ১০ গুণ বেশি।শুনতে অবাক লাগলেও নতুন অ্যারোপনিক চাষাবাদ পদ্ধতি শুরু হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে। যেখানে জমি ছাড়াই টবে আলু চাষ করা সম্ভব হবে।

এই পদ্ধতির মাধ্যমে একটি গাছে ৪০ থেকে ৬০ টি ছোট আলুর ফলন হবে, যা জমিতে বীজ হিসেবে রোপন করা হচ্ছে।এই পদ্ধতিতে ফলন প্রায় ১০ থেকে ১২ গুণ বৃদ্ধি পাবে। এই প্রকল্পটির নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে টবে আলু জন্মানো। এই পদ্ধতির মাধ্যমে গাছে যতটুকু পুষ্টি দেওয়া হয়, তা মাটি দিয়ে নয়, বরং ঝুলন্ত শিকড় দিয়ে দেওয়া হয়।এর ফলে আলুবীজের খুব ভালো উৎপাদন করা যায়।

এই পদ্ধতির ফলে আলুগুলো মাটিবাহিত যেকোনো রো’গ থেকে মুক্ত থাকবে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমেই ভালো মানের বীজ এর ঘাটতি পূরণ করা হবে। কেন্দ্রের এই কৌশলে ১ ইউনিটে ২০ হাজার চারা রোপণের ক্ষমতা রয়েছে, যা থেকে প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ মিনি কন্দ বা বীজ আরও প্রস্তুত করা যেতে পারে।

Advertisement