Homeসব খবরজেলার খবরজনপ্রিয়তা পাচ্ছে বিটি বেগুনের চাষ, হেক্টর প্রতি ফলন ৬০...

জনপ্রিয়তা পাচ্ছে বিটি বেগুনের চাষ, হেক্টর প্রতি ফলন ৬০ টন!

বিটি বেগুন চাষে কী’টনাশক ব্যবহার কমে হওয়ায় অন্যান্য বেগুনের তুলনায় ৬ গুণ বেশি আয় হয়। বাজারে চাহিদা ও খরচ কম হয় বলে বিটি বেগুন চাষে ঝুঁকছেন এ অঞ্চলের চাষিরা। বাজারে চাহিদা থাকায় যশোরাঞ্চলে জনপ্রিয় হচ্ছে বিটি বেগুন চাষ।

জমিতে সেচ প্রয়োগের পরে মাটি মালচিং করতে হয়। এরপর সার প্রয়োগ করে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হয়। এ জন্য আগাছা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে আগাছা বেশি হলে নিড়ানি দিয়ে জমি আগাছামুক্ত করতে হয়। প্রয়োজনীয় নিড়ানি ও মাটি মালচিং করলে গাছের শিকড়ের বৃদ্ধি ভালো হয়। আবহাওয়া ও মাটির অবস্থা ভেদে ৪ থেকে ৬ টি সেচ প্রয়োগ করতে হয়। ভালো ব্যবস্থাপনায় হেক্টর প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টন বেগুন উৎপাদন সম্ভব। চারা রোপণের ১২০ থেকে ২০০ দিন পর্যন্ত ফসল সংগ্রহ করা যায়।

চাষি জয়নাল আবেদীন বলেন, বিটি বেগুন পরিবেশ বান্ধব। এতে কোনো ধরনের বালাইনাশক স্প্রে করার প্রয়োজন পড়ে না। এই চাষে খরচও কম। লাভ বেশি। কৃষি গবেষণা বিভাগের কর্মকর্তাদের অনুরোধে বিটি বেগুনের চাষ শুরু করি। আরেক চাষি আজাদ হোসেন বলেন, বিটি বেগুনে কোন কী’টনাশক ব্যবহার করা লাগে না। খরচ কম। লাভ বেশি।

কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কাওসার উদ্দীন আহম্মদ বলেন, প্রথম অবস্থায় চাষিদের বেগুন চাষে আগ্রহী করতে বেগ পেতে হয়েছে। কিন্তু উৎপাদনে সাফল্য দেখে অন্য কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। তাছাড়া আমাদের দেশে ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিক টন বেগুন উৎপাদন হয়। যা মোট সবজির ৩০ ভাগ। বেগুন চাষে কোনো স্প্রে করা লাগে না। লাভ বেশি হয়। ফলে চাষিদের খরচ কম হয়।

Advertisement