Homeসব খবরজেলার খবরছাদে বীজতলা তৈরী করে সাড়া ফেলেছেন ফিরোজ!

ছাদে বীজতলা তৈরী করে সাড়া ফেলেছেন ফিরোজ!

মানুষকে বিনামূল্যে কৃষি সরঞ্জাম ও পরামর্শ দেন বলে এলাকায় তিনি ‘কৃষকবন্ধু’ নামে পরিচিত। কৃষিতে আধুনিকতার ছোঁয়া দিতে ও মানুষকে আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষি কাজ করতে তিনি উৎসাহিত করে থাকেন। বর্তমানে তিনি বাড়ির ছাদে বোরো ধানের বীজতলা তৈরী করে মানুষকে নিত্য নতুন ভাবে কৃষি করায় আগ্রহী করে তুলছেন। পাবনায় বাড়ির ছাদে বোরো ধানের বীজতলা তৈরী করে সাড়া ফেলেছেন কৃষি ক্লাবের সভাপতি এম আর এম ফিরোজ।

পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার কৃষি ক্লাবের সভাপতি এম আর এম ফিরোজ। তিনি কৃষি বিষয়ে মানুষকে বিভিন্ন পরামর্শ দেয় আনন্দিত হয়। আর মানুষকে আধুনিকভাবে চাষাবাদ করায় আগ্রহী করে তোলেন। তার বাড়ির ছাদে বোরো ধানের বীজ তলা তৈরী করা দেখে আরো ৬-৭ জন কৃষক তাদের বাড়ির ছাদে বীজতলা তৈরী করেছেন। কৃষকদের আধুনিক ও সহজ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে তিনি প্রতিনিয়ত উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্র মতে, সরকারের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ফিরোজসহ উপজেলার ৫০ জন কৃষককে ও দেশের বিভিন্ন স্থানে সমবায়ভিত্তিক সমলয় পদ্ধতিতে চাষের জন্য মনোনীত করা হয়েছেন এবং তারা চাষ করছেন।

এম আর এম ফিরোজ বলেন, অনেকের বীজতলা তৈরী করতে জমি থাকে না। তবে ছাদে ট্রে ব্যবহার করে খুব অল্প জায়গায় বীজ তলা তৈরী করা যায়। এই পদ্ধতিতে অনেক সুবিধা রয়েছে। এইভাবে চারা উৎপাদন হতে মাত্র ২০ দিন সময় লাগে। এতে চারার শিকড় ছিড়ে যায় না। ধানের ফলনও বেশি পাওয়া যায়। উৎপাদিত চারা খুব ভালোভাবেই জমিতে রোপন করা যায়।

তিনি আরও বলেন, জমিতে বীজতলা তৈরী করতে গেলে অনেক পরিশ্রম করতে হয়, শ্রমিকের প্রয়োজন পড়ে। ফলে বীজতলা তৈরী করা খুব ব্যয় বহুল হয়ে পড়ে। আবার এর পরিচর্যা করতে পরিবারের অন্য সদস্যরাও সহযোগিতা করতে পারে। ছাদে বীজ তলা তৈরী করলে শুধু সকাল-দুপুর ও সন্ধ্যায় পানি দিলেই চলে। এতে সময়ও কম লাগে, খরচও কম। জমিতে বীজতলা তৈরী করলে অসময়ের বৃষ্টিতে তলিয়ে যেতে পারে, বীজতলা থেকে চারা চুরি ও গরু ছাগলে খেয়ে ফেলার ভয় থাকে। যা ছাদে করলে থাকে না। তাই সমলয় পদ্ধতিতে কৃষকরা লাভবান হবেন। ইতোমধ্যে আরো ৬-৭ জন কৃষক তাদের বাড়ির ছাদে বীজতলা তৈরী করেছেন। আশা করছি কৃষকরা সাশ্রয়ীভাবে চাষাবাদ করে লাভবান হতে পারবেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূরে আলম বলেন, চলতি বছর ৫০ জন কৃষককে সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। আশা করছি কৃষকরা তাদের বাড়ির ছাদে, উঠানে ও পরিত্যক্ত জায়গায় বীজতলা তৈরী করে চাষাবাদ করে লাভবান হবেন। আগামীতে এই পদ্ধতিতে চাষে চাষির সংখ্যা বাড়বে।

Advertisement