অনেক দূ’র্যোগ পেরিয়ে এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় তার মুখে হাসি ফুটেছে। তার জমিতে থোকা থোকা দুলছে শিম ফুল। এসব ফুলের মাঝে উঁকি দিচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। গাইবান্ধার ধাপেরহাট ইউনিয়নের বোয়ালীদহ গ্রামের আনছার আলী চ্যাপ্টা জাতের শিম চাষ করে সফলতা পেয়েছেন।
গাইবান্ধার ধাপেরহাট ইউনিয়নের বোয়ালীদহ গ্রামের কৃষকের মাঠে দেখা গেছে শিমফুলের স্বর্গরাজ্য। এই মাঠে সবুজ লতার ফাঁকে সেজেছে পুরো ক্ষেত। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন ফুলের বাগান। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর শিমের ফলনও ভালো হয়েছে। শিমের অধিক ফলনের সম্ভাবনায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। আর বাজারে দামও ভালো।
কৃষক আনছার আলী বলেন, আমার ৩০ শতক জমিতে শীতকালীন সবজি হিসেবে চ্যাপ্টা শিমের চাষ করেছি। বীজ বপনের দুই মাসের মধ্যে বীজ ফুটিয়ে গাছগুলো উঠেছে মাচায়। এ গাছের লতা-পাতায় ভরে গেছে পুরো ক্ষেত। বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই ক্ষেতে ফুটেছে থোকা থোকা ফুল ও ফল।
তিনি আরও বলেন, সার-কিটনাশক ও শ্রমিকসহ যাবতীয় খরচ হবে প্রায় ১০ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে বাজারে শিম বিক্রি শুরু হয়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি শিম ৫০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর এমন থাকলে ৪০ হাজার টাকা লাভ করতে পারবো। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে শিমের দামও রয়েছে ভালো।
কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক বেলাল উদ্দিন বলেন, গাইবান্ধার ধাপেরহাট ইউনিয়নের বোয়ালীদহ গ্রামে শিমের ব্যাপক চাষ হয়েছে। আমরা চাষিদের শিম চাষে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগীতা করছি। শাক-সবজি চাষ করে চাষিরা অনেক লাভবান হচ্ছেন।