Homeফুটবলচিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনাকে ৩-১ গোলে হারালো ব্রাজিল

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনাকে ৩-১ গোলে হারালো ব্রাজিল

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) কলম্বিয়ায় সকাল সাড়ে ৬টায় মাঠে নামে অনূর্ধ্ব-২০ আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল দল। খেলার প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ব্রাজিল। আর দ্বিতীয়ার্ধ শেষে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে হলুদ জার্সির দলটি। টানা দুই ম্যাচ জিতে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল।

টিকে থাকার লড়াইয়ে জয় দরকার ছিল আর্জেন্টিনার। এমন লক্ষ্য নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার দলটি যখন মাঠে নামে, তখন বাংলাদেশে ভোরের সূর্য উঁকি দেয়ার চেষ্টা করছিল। আর তখনই বাংলাদেশের আর্জেন্টাইন ভক্তদের জন্য দুঃসংবাদ ভেসে আসে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে তারা হেরেছে ফুটবল পরাশক্তি ব্রাজিলের বিপক্ষে। তাতে কনমেবল অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ পর্বে পয়েন্ট শূন্য রইল আর্জেন্টিনা।

অন্যদিকে শূন্য পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ দলের মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। এর আগে প্রথম ম্যাচে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে হারের মুখ দেখে আর্জেন্টিনা। এই মুহূর্তে ৩ ম্যাচ থেকে ২ জয় ও ১ ড্র নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে ৭ পয়েন্ট পাওয়া প্যারাগুয়ে।

কনমেবল অনূর্ধ-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপপর্বে বাঁচা-মরার লড়াই উতরে গেল ব্রাজিল। যদিও প্রতিপক্ষ ছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি আর্জেন্টিনা। তবে সেই সাদা-আকাশী জার্সিধারীদের ধরাশায়ী করেছে হলুদ জার্সিধারীরা। নির্ধারিত সময় শেষে ৩-১ গোলে বড় জয় পেয়েছে ব্রাজিলের যুবারা।

প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে থাকে ব্রাজিল। অবশ্য পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমানোর সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধের ৮৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান আরও বাড়ায় ব্রাজিল। অবশ্য যোগ করা সময়ে গোল করে পরাজয়ের ব্যবধানটা কমায় আর্জেন্টিনা।

ব্রাজিলের হয়ে গোল করেন গুইলার্মো বিরু, আন্দ্রে সান্তোস ও ভিটর রোকে। আর্জেন্টিনার হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ম্যাক্সি গনজালেজ। এ ম্যাচে হারলেও পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ এখনো আছে আর্জেন্টিনার সামনে। তবে যুবাদের সামনেও সমীকরণটা একটু জটিল। তা হলো- পরের দুই ম্যাচে আর্জেন্টিনা জয় পেলে এবং কলম্বিয়া, প্যারাগুয়ে ও ব্রাজিল তাদের নিজ নিজ ম্যাচে হারলে আর্জেন্টিনার সুযোগ থাকবে পরের রাউন্ডে যাওয়ার।

প্রতিটি গ্রুপ থেকে তিনটি করে মোট ছয়টি দল উঠবে পরের গ্রুপ পর্বে। সেই ছয়টি দলের মধ্য থেকে যারা সেরা হবে তারাই হবে চ্যাম্পিয়ন। প্রতিটি দল মোট চারটি করে ম্যাচ খেলবে। ইতিমধ্যে প্যারাগুয়ে ও কলম্বিয়া তিন ম্যাচ খেলে ফেলেছে। আর আর্জেন্টিনার ও ব্রাজিল খেলেছে দুটি করে।

Advertisement