Homeসব খবরজাতীয়ঘোষণা ছাড়াই বাংলাদেশে অক্সিজেন রপ্তানি বন্ধ করেছে ভারত

ঘোষণা ছাড়াই বাংলাদেশে অক্সিজেন রপ্তানি বন্ধ করেছে ভারত

অক্সিজেনের সংকট দেখিয়ে কোনো ঘোষণা ছাড়ায় হঠাৎ করেই ভারত বাংলাদেশে অক্সিজেন রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) লিনডে বাংলাদেশ কোম্পানির আটটি ট্রাকে ১৫৭ মেট্রিক টন অক্সিজেন বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দরে আসে। শনিবার (২৪ এপ্রিল) থেকে তিনদিন এ পথে আর কোনো অক্সিজেনের গাড়ি আসেনি।

দেশে কমেছে অক্সিজেন সরবরাহ। রোগীর চাপ কমায় এখন অক্সিজেনের ঘাটতি না থাকলেও সংক্রমণ বাড়লে সংকটে পড়তে পারে দেশ। তাই অন্য দেশ থেকে আমদানি করার পরামর্শ চিকিৎসকদের। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অক্সিজেন উৎপাদনকারী দেশ ভারত। কিন্তু করোনা মহামারীর এই সময়ে অক্সিজেনের ভয়াবহ সংকটে দেশটি। অক্সিজেনের অভাবে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে অনেক রোগী।

বাংলাদেশের মোট চাহিদার ২০ ভাগ অক্সিজেন আসে ভারত থেকে। কোন ঘোষণা ছাড়াই গত ২১ এপ্রিলের পর অক্সিজেন রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। তাই দেশে অক্সিজেনের সরবরাহ কমেছে। তবে স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, করোনা রোগী কমে আসায় অক্সিজেনের চাহিদাও কমে গেছে। কিন্তু রোগী বাড়লে বড় বিপদের শঙ্কা আছে।

দেশে করোনা শনাক্তের হার কিছুটা কমেছে। করোনার সংক্রমণের আগে দেশের স্বাস্থ্য খাতে অক্সিজেনের চাহিদা ছিল দিনে ১০০ থেকে ১২০ টন। ওই সময় আমদানির প্রয়োজন হতো না। করোনার সংক্রমণ শুরু হলে চাহিদা বাড়তে থাকে।

শুরু হয় ভারত থেকে আমদানি। চলতি এপ্রিলের শুরুতে দিনে চাহিদা সর্বোচ্চ ২০০ থেকে ২২০ টনে পৌঁছায়। এখন এটি কমে ১৪০ থেকে ১৫০ টনে দাঁড়িয়েছে। অথচ পনের দিন আগেই এই চাহিদা ছিল ১৮০ থেকে ২১০ টন। তখন ভারত রপ্তানি চালু রাখার পরও দৈনিক অক্সিজেন ঘাটতি ছিল ৫০ থেকে ৭০ টন। কলকাতায় প্রতি ১০০ নমুনা পরীক্ষায় ৫০ জনের করোনা শনাক্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশেও সংক্রমণ বাড়লে অক্সিজেন ঘাটতি মেটানো কঠিন হবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, দেশের অনেক কারখানা নিজেদের ব্যবহারের জন্য অক্সিজেন উৎপাদন করছে। প্রয়োজন হলে এ অক্সিজেন তরলে রূপান্তর করে রোগীদের জন্য ব্যবহার করা হবে। করোনা চিকিৎসায় সবচেয়ে কার্যকরী অক্সিজেন থেরাপি। সরকারি হাসপাতালের মাত্র ৯২টি ইউনিটে চালু আছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন।

Advertisement