বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়া ‘ইয়াস’ এর প্রভাবে আক্রান্ত জেলাগুলোর কৃষকের জন্য দশটি করণীয় সম্পর্কে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
সোমবার (২৪ মে) সরকারের তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত এক তথ্য বিবরণীতে এসব দিকনির্দেশনা জানানো হয়।
তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর হতে প্রাপ্ত তথ্য মতে, বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এ পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে ২৫-২৭ মে দেশের ৩০টি জেলায় ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
ইয়াস এর প্রভাব পড়তে পারে যে জেলাগুলোয় সেগুলো হচ্ছে- সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মাগুরা, মেহেরপুর, নড়াইল, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়া।
এমতবস্থায়, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে ঘরে তোলার উপযোগী ফসল, গবাদি পশু ও মৎস্য সম্পদকে রক্ষার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নিম্নলিখিত পরামর্শ প্রদান করেছে:
১. বোরো ধান ৮০% পরিপক্ব হয়ে গেলে দ্রুত সংগ্রহ করতে হবে
২. সংগ্রহ করা ফসল পরিবহণ না করা গেলে মাঠে গাদা করে পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে যেন ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাতে ক্ষতি না হয়
৩. দ্রুত পরিপক্ব সবজি ও ফল বিশেষ করে আম ও লিচু সংগ্রহ করতে হবে
৪. সেচ, সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে হবে
৫. দণ্ডায়মান ফসলকে পানির স্রোত থেকে রক্ষার জন্য বোরো ধানের জমির আইল উঁচু করে দিতে হবে
৬. নিষ্কাশন নালা পরিষ্কার রাখতে হবে যেন জমিতে পানি জমে থাকতে না পারে
৭. খামারজাত সকল পণ্য নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে
৮. আখের ঝাড় বেঁধে দিতে হবে, কলা ও অন্যান্য উদ্যানতাত্বিক ফসল এবং সবজির জন্য খুঁটির ব্যবস্থা করতে হবে
৯. পুকুরের চারপাশ জাল দিয়ে ঘিরে দিতে হবে যেন ভারী বৃষ্টিপাতে পানিতে মাছ ভেসে না যায়
১০. গবাদি পশু ও হাঁস মুরগী শুকনো ও নিরাপদ জায়গায় রাখতে হবে