Homeঅন্যান্যগরুর খামার করে সফল আকতার, মাসে আয় ৭ লাখ!

গরুর খামার করে সফল আকতার, মাসে আয় ৭ লাখ!

২২ টি গরু দিয়ে শুরু করা খামারে এখন ৪০০ গরু রয়েছে। নিজের মেধাকে কাজে লাগিয়ে যেকোনো অবস্থান থেকে সফলতা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। ভোলা পৌরসভার কালিবাড়ি রোড ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আকতার হোসেন গরুর খামার করে সফলতা পেয়েছেন। অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রম তাকে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়।

মাস্টার্স পাশ করে চাকরির পেছনে না ঘুরে ৮ বছর আগে পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে ২২ টি গরু কিনে খামার শুরু করেন আকতার হোসেন। গরুর খামারের পাশাপাশি তিনি হাঁস-মুরগী, কবুতর, মাছ ও ফল চাষ করে মাসে আয় করেন ৬-৭ লক্ষ টাকা। জেলার সফল খামারি হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন। ইতোমধ্যে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে পেয়েছেন বেশ কিছু সম্মাননা। তার সফলতা দেখে অনেক বেকার যুবক খামার করায় উৎসাহী হচ্ছেন।

খামারি আকতার হোসেন বলেন, অনেকটা শখের বশে ৮ বছর আগে ২২ টি গরু কিনে খামার শুরু করি। প্রথম বছর কেরবানির ঈদে গরু বিক্রি করে প্রায় ৭০ হাজার টাকা লাভ করি। কিন্তু প্রথম পর্যায়ে গাভির খুরা, তর্কা, বাদলা, গলাফুলাসহ বিভিন্ন রোগে গরু আক্রান্ত হয়। তখন কিছুটা লোকসানে পড়লেও আস্তে আস্তে তা কাটিয়ে উঠি। এখন নিয়মিত আমার খামারের গরু, হাঁস-মুরগীর চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক নিয়োজিত আছেন। গরু পালনে লাভবান হবো ভেবে খামার বড় করতে শুরু করি। এখন আমার খামারে প্রায় ৪শত গরু রয়েছে। এর মধ্যে ৫০টি বেশি গাভী রয়েছে। গাভীগুলো প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৩শত লিটার দুধ দেয়। তা স্থানীয় বিভিন্ন বাজার ও দূর-দূরান্তে পাঠানো হয়। এ ছাড়া প্রতি কোরবানির ঈদে আমার খামার থেকে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার গরু বিক্রি করে থাকি।

তিনি আরো বলেন, গরুর পাশাপাশি ১ হাজার হাঁস-মুরগী, ১ হাজার কবুতর, ও ৭ টি মাছের ঘের রয়েছে। এই সব গুলো দেখাশোনার জন্য ২৫ জন শ্রমিক নিয়োমিত কাজ করে যাচ্ছে। যারা এই খামারে কাজ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছেন। খামার পরিচালনা করে মাসে তার ৬-৭ লাখ টাকার মতো আয় হয়। বেকার যুবকদের চাকরির পেছনে না ঘুরে তার মতো খামার করে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল বলেন, চাকরির পেছনে না ছুটে গরুর খামার করে সফল হওয়ায় আকতার হোসেনকে অভিনন্দন জানান তিনি। তার এই উদ্যোগের জন্য অনেক বেকারের কর্মসংস্থান হয়েছে। পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও দারুন ভূমিকা রাখছে বলে তিনি জানান। তাকে অনুসরণ করে এলাকায় ছোট-বড় অনেক খামার গড়ে উঠেছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর তাকে সকল ধরনের সহযোগীতায় এগিয়ে আসবে।

Advertisement