Homeসব খবরজেলার খবরখাঁচা থেকে মধু সংগ্রহ করছেন চাষিরা

খাঁচা থেকে মধু সংগ্রহ করছেন চাষিরা

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় কালোজিরা, ধনিয়া, সূর্যমুখী, সরিষা খেতসহ প্রায় জমিতেই চাষিরা মধু খাঁচা বসিয়ে মধু চাষ করছেন। চাষিরা তাদের উৎপাদিত খাটি মধু স্থানীয় বাজারসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরাসরি ও অনলেইনের মাধ্যমে সরবরাহ করছেন। ফরিদপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মধু চাষ। এই চাষ শীতে শুরু হয়েছিল। বর্তমানে কালোজিরা, ধনিয়া, সূর্যমুখী, সরিষায় খেতে পাশে খাঁচায় মধু চাষ হচ্ছে। চাষিরা তাদের উৎপাদিত মধু দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সরবরাহ করে লাভবান হচ্ছেন।

উপজেলার নওপাড়া, পরীক্ষেতপুর, গাজনা, হাটগোপালদী এলাকার বিভিন্ন ক্ষেতের চারপাশে চলছে খাঁচায় মৌমাছির চাষ। চাষিরা খাঁচা থেকে মধু সংগ্রহ করছেন। সাথে সাথে সেই মধু বাজারজাত করণেও ব্যস্ত সময় পার করছেন।

গাইবান্ধা জেলা থেকে আসা মধুচাষি মাহমুদুর রহমান মুকুল বলেন, আমরা ৬ জন গত ১ মাস হলো এই উপজেলায় মধু সংগ্রহ করতে এসেছি। বর্তমানে কালোজিরা ও ধনিয়া ফুলের মধু সংগ্রহ করেছি। এখন ফুল কম থাকায় মধু বেশি সংগ্রহ করতে পারছি না। এখানে সংগ্রহ শেষ হলে দিনাজপুর লিচু ফুলের মধু সংগ্রহ করতে যাবো। প্রায় ৪০ দিনে ৩৫০টি বক্স থেকে দেড় মণ মধু সংগ্রহ করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মধুতে কোনো প্রকার ভেজাল মেশানো থাকেনা। আমাদের দেশে কালোজিরা, সরিষা, ধনিয়া, সরিষা, আমসহ বিভিন্ন ফুলের মধুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে আমরা ১ কেজি খাটি মধু ৭০০-৮০০ টাকা দরে বিক্রি করছি। এছাড়াও বিভিন্ন ঔষুধ কোম্পানি, শিল্প কারখানায় মধু বিক্রি হচ্ছে।

মধুখালী উপজেলা কৃষি অফিসার আলভীর রহমান বলেন, প্রতি বছরই এই এলাকায় মৌ-চাষিরা খাঁচায় মধু চাষ করে থাকেন। ধীরে ধীরে যুবকদের মধ্যে মধু চাষের আগ্রহ বাড়ছে। শীত মৌসুমে মধুখালীতে মৌচাষিরা বিভিন্ন জেলা থেকে এসে অস্থায়ীভাবে মৌ চাষ করে থাকেন। এতে মৌ-চাষিদের পাশাপাশি ফসলের কৃষকরাও লাভবান হতে পারেন। মৌ-চাষের ফলে ফুলের পরাগায়নের মাধ্যমে ফসলেরও উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।

Advertisement