আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে লোন নিয়ে তাদের ব্যবসাকে আরও বড় করতে চান। কিন্তু লোন নিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। আবার বন্ধক রাখার মতো কোনো সম্পদ না থাকায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকেও তারা লোন পান না। ফলে তাদের ব্যবসাকে আর বড় করা হয়ে ওঠে না।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের এই সমস্যার সমাধান করতে ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশে প্রথম চালু করেছে ‘দ্রুতি’ নামে একটি ট্যালি লোন পদ্ধতি। এটি মূলত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আর্থিক লোন দিয়ে সাহায্য করার জন্য ব্র্যাক ব্যাংকের একটি উদ্যোগ। গত বুধবার (৫ এপ্রিল) ব্যাংকটির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা প্রতিদিনের হিসাবের জন্য ব্যবহার করেন ট্যালি খাতা। এই ট্যালি খাতার উপর ভিত্তি করেই ব্র্যাক ব্যাংক শুরু করে ট্যালি লোন। ব্র্যাক ব্রাংকের ট্যালি লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা লেনদেন এবং ঋণযোগ্যতার প্রমাণ হিসেবে তাদের এই ট্যালি খাতা ব্যবহার করতে পারেন। ব্র্যাক ব্যাংকের রিলেশনশিপ অফিসাররা ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলো পরিদর্শনের পর ব্যবসায়ীদের ট্যালি খাতার রেকর্ড অনুযায়ী তাদের প্রয়োজন ও চাহিদাগুলো মূল্যায়ন করেন এবং ঋণের আবেদনগুলো গ্রহণ করেন।
এছাড়া ব্যাংক গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন ঋণের আবেদনের জন্য ট্রেড লাইসেন্স পেতে সাহায্য করে। আর ট্যালি লোন ‘দ্রুতি’র আওতায় ন্যূনতম দুই বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন পুরুষ উদ্যোক্তা এবং এক বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নারী উদ্যোক্তা কোনো ধরনের বন্ধক ছাড়াই সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন। এই ঋণ দুই বছরের মধ্যে পরিশোধযোগ্য।
ব্র্যাক ব্যাংকের এই উদ্যোগটি ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য প্রসিদ্ধ নারায়ণগঞ্জে চালু করা হয়েছে। এছাড়া পরবর্তী সময়ে কুমিল্লা ও নরসিংদী অঞ্চলে এই লোন ‘দ্রুতি’ চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।