Homeধর্মকাবা শরীফের গিলাফে ৬৭০ কেজি রেশম, ১২০ কেজি সোনা!

কাবা শরীফের গিলাফে ৬৭০ কেজি রেশম, ১২০ কেজি সোনা!

সারা দুনিয়ার মুসলিমদের কিবলা হচ্ছে মক্কা নগরীতে অবস্থিত পবিত্র কাবাঘর। প্রতিবছর বছর ৯ জিলহজ মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে পবিত্র স্থান কাবা শরীফের গিলাফ পরিবর্তন করা হয়ে থাকে। আর এটি করে থাকে কাবা শরীফের দেখভালের দায়িত্বে থাকা সৌদি সরকার। এদিকে, আরব নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এ বছরের নতুন গিলাফ তৈরিতে সৌদি সরকার খরচ করেছে আনুমানিক ২২ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল। গিলাফ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৬৭০ কেজি খাঁটি রেশম, ১২০ কেজি খাঁটি সোনার সুতা এবং ১০০ কেজি রূপার সুতা। গিলাফে ব্যবহৃত রেশম আনা হয়েছে ইতালি থেকে এবং সোনা জার্মান থেকে।

সম্প্রতি মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববীর জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগের প্রধান ড. আবদুর রহমান আস সুদাইস নির্দেশনা দিয়েছেন, এখন থেকে কাবার গিলাফ ও বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের সময় আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নতমানের মেশিনারিজ ব্যবহারের। তিনি বলেন, মসজিদে হারাম এবং মসজিদে নববীর নির্মিত ও নির্মাণাধীন যত স্থাপনা আছে, তা আরও আকর্ষণীয় করতে আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নতমানের মেশিনারিজ ব্যবহার করা উচিত।

সেইসঙ্গে এই দুই মসজিদে ব্যবহৃত জিনিসগুলো দেশের ভেতর ও বাইরের জাদুঘরে প্রদর্শন করা যেতে পারে। এতে দর্শনার্থীদের আগ্রহ আরও বাড়বে বলে মতামত দিয়েছেন তিনি। প্রায় ২০০ জন কর্মী এই কাজে নিয়োজিত থাকেন। পুরোনো গিলাফ কেটে মুসলিম দেশের সরকার প্রধান সহ বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের উপহার দেওয়া হয়। আরবরা কাবাকে আবৃত করে রাখা চাদরটিকে বলে ‘কিসওয়া’।

কালো রেশমি কাপড়ে তৈরি গিলাফটির গায়ে সোনার প্রলেপ দেয়া রুপালি তারের মাধ্যমে এমব্রয়ডারি করা হয় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলাল্লাহ’, ‘আল্লাহু জাল্লে জালালুহু’, ‘সুবহানাল্লাহু ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আযিম’ ও ‘ইয়া হান্নান, ইয়া মান্নান’। খানায়ে কাবার দরজার পর্দাটিকে বলা হয় ‘বোরকা’। এটাও কালো রেশম কাপড় দিয়ে তৈরি। এতে ইসলামি নকশা ও কোরআনের আয়াত লেখা থাকে।

Advertisement