Homeসব খবরজেলার খবরকাজলী শিম চাষে লাভবান কৃষকরা

কাজলী শিম চাষে লাভবান কৃষকরা

অন্যান্য শিমের তুলনায় এই জাতের শিমের স্বাদ অন্যরকম। ময়মনসিংহে কাজলী জাতের শিম চাষে লাভবান হয়েছেন কৃষকরা। এই অঞ্চলে বেশ কয়েকটি শিমের মধ্যে কাজলী জাতের শিমের চাহিদা বেশি। তাই কৃষকরা এর চাষ করে বেশি ফলন পান ও বাজারে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন। শিম ও শিমের বীজের জন্য কাজলী জাতের শিমের ব্যাপক সুনাম রয়েছে।

ময়মনসিংহে সজি হিসেবে শিম খুব জনপ্রিয়। দেশের প্রায় ৫০টি শিমের জাত রয়েছে। তার মধ্যে কাজলী জাতের শিম এই অঞ্চলের মানুষের কাছে খুবই পছন্দনীয়। জেলার বিভিন্ন উপজেলার মধ্যে নান্দাইল উপজেলার এই জাতের শিমের বেশি চাষ হয়। কাজলী শিম দেখতে গারো মেরুন ও সবুজ রঙের ভেতরে বড় বীজ থাকে। কম খরচে বেশি উৎপাদন ও বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পরেন বলে এখানকার কৃষকরা এই জাতের শীম চাষে ঝুঁকছেন। বাজারে অন্যান্য শিমের তুলনায় এই শিমের মূল্য বেশি থাকে। পাশাপাশি এর বীজেরও বেশ চাহিদা রয়েছে।

নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের সুতারাটিয়া গ্রামের কৃষক মো. আব্দুল আলী বলেন, আমি অনেকদিন যাবত বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করছি। সবজি চাষ করে আমি স্বাবলম্বী হয়েছি। এবছর ৫০ শতক জমিতে কাজলী জাতের শিম চাষ করেছি। জমিতে শিমের ভালো ফলন হয়েছে। চাষে আমার ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আরো ৫০-৬০ হাজার টাকার বিক্রি করতে পারবো। ইতোমধ্যে ১ লাখ টাকার শিম বিক্রি করেছি।

তিনি আরও বলেন, গত বছর ৬০ শতক জমিতে কাজলী জাতের শিমের চাষ করে ২ লাখ টাকা আয় করেছিলম। আশা করছি এবছরও তেমন লাভ করতে পারবো। উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, অন্যান্য শিমের তুলনায় এই জাতের দাম বেশি। প্রথম দিকে প্রতি কেজি ১০০-১৫০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে ৪০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

নান্দাইল উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে ও ১টি পৌরসভার মধ্যে আচারগাঁও, চরবেতাগৈর ও বীরবেতাগৈর ইউনিয়নে বেশি পরিমাণে শিমের চাষ হয়। শিম চাষে লাভবান হওয়া যায় বলে কৃষকরা এর চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। চলতি বছর এই উপজেলায় ১ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে শাকসবজি চাষ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. আমিনুল হক বলেন, এই উপজেলার আবহাওয়া ও মাটি শিম চাষের উপযোগী হওয়ায় কৃষকরা ব্যাপক ফলন পেয়ে থাকেন। দিন দিন শিম চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। আমরা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহেযাতিা করে আসছি। পাশাপাশি এই জাতের শিমের বাজার মূল্য বেশি থাকায় বিক্রি করে কৃষকরা আর্থিকভাবে অধিক লাভবান হতে পারেন।

Advertisement