Homeসব খবরজেলার খবরকাঙ্ক্ষিত ফলন না পেয়ে হতাশ তরমুজ চাষিরা

কাঙ্ক্ষিত ফলন না পেয়ে হতাশ তরমুজ চাষিরা

বেশি ফলন ও বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হওয়ায় আশায় আগাম তরমুজ চাষ করে কাঙ্ক্ষিত ফলন পাননি তারা। এতে কৃষকরা লোকসানে আশঙ্কায় হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ফলন বিপর্যয় হওয়ায় হতাশ আগাম তরমুজ চাষিরা।

কৃষক জয়নাল আবেদীন সুবর্ণচর উপজেলার চর আমান উল্লাহ ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়নে ৫ বছরের জন্য ২৫ একর পতিত জমি বর্গা নিয়ে তরমুজ চাষ করেন। বাজারে আগাম তরমুজ বিক্রি করে লাভবান হবেন। প্রথমধাপে ফলন বি/পর্যয় হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন তিনি। এই আশায় বুক বেঁধে ছিলেন তিনি। তার এই আশা পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তরমুজের ফলন।

কৃষক জয়নাল আবেদীন বলেন, আমি দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে তরমুজ চাষাবাদের সাথে যুক্ত আছি। এবছর ২৫ একর জমি বর্গা নিয়ে তরমুজ চাষ করেছিলাম। এর আগে কখনো এমন পরিস্থিতিতে পড়িনি। গাছগুলো ভালো হলেও ফলন তেমন হয়নি। কেনো ফলন হলো না কিছুই বুঝতে পারছিনা। এখন দ্বীতিয় ধাপে যেন আল্লাহ ভালো ফলন দেন সেই আশাই করছি। কিন্তু কিছু কিছু জমিতে একেবারে কোনো ফলন আসেনি। প্রতি একরে আমার ৭০-৭৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, লাভের আশায় এবার তরমুজ চাষ করতে যেয়ে লোকসানের মুখে পড়েছি। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জমিতে ঔষধ দিয়েছি। গাছ পরিপুষ্ট কিন্তু ফলন নেই। এখন ঔষধ খারাপ নাকি আবহাওয়া খারাপ বুঝতে পারছি না। কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, আমি ১৫ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। চাষে আমার প্রায় ৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখনো আশানুরূপ ফলন পাইনি।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন বলেন, চলতি বছর কোম্পানীগঞ্জে ২ হাজার ৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। তবে কিছু কিছু কৃষক ফলন বিপর্যয়ের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছে। আগাম চাষে লাভ ক্ষতি দুটোরই সম্ভাবনা থাকে। সামনে রমজান মাস থাকায় আশা করছি চাষিদের লোকসান হবে না। তবে বিগত কয়েক বছর চাষিরা আগাম তরমুজ চাষ করে লাভবান হয়েছেন। ফলে দিন দিন এর চাষ বাড়ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নোয়াখালীর উপ-পরিচালক মো. শহীদুল হক বলেন, চলতি বছর নোয়াখালীতে প্রায় ৭ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছে। বর্তমানে তরমুজ বাজারজাত করার অপেক্ষা রয়েছেন কৃষকরা। লাভের আশায় কৃষকরা আগাম তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়েছেন।

Advertisement