Homeসব খবরজেলার খবরকরলা চাষে কৃষকের মুখে হাসি

করলা চাষে কৃষকের মুখে হাসি

বর্তমানে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত করলা জমি থেকে তুলছেন। পাইকারি প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন। গোপালগঞ্জে করলা চাষে হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। এই সবজিতে অজ্ঞাত ভাই/রাসের আক্র/মণের পর কৃষি বিভাগের পরামর্শে ভাই/রাস না/শক প্রয়োগের মাধ্যমে কৃষকরা ঘুরে দাঁড়িয়েছেন।

গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়ার গোপালপুর, সদর উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নে ব্যাপক পরিমানে করলার চাষ করা হয়েছে। এতে চলতি মৌসুমে রঘুনাথপুর ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ২০০ হেক্টর জমিতে করলার চাষাবাদ করা হয়। এখানকার কৃষকরা প্রায় ৩০ বছর যাবত করলার চাষ করেছেন। বর্তমানে কৃষকরা জমি থেকে করলা তুলে বাজারে বিক্রি করছেন। এবছর অতিরিক্ত শীতের কারণে ভাই/রাসে আ/ক্রমন করলে পরে কৃষকরা কৃষি বিভাগের পরামর্শে ভাই/রাস নাশ/ক প্রয়োগ করে তা থেকে পরিত্রান পান।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সিলনা গ্রামের কৃষাণী সুরূচী বিশ্বাস বলেন, এবছর আমরা ১ বিঘা জমিতে করলার চাষ করেছি। চাষে প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা কারছি আরো ১০ হাজার টাকার বিক্রি করতে পারবো। এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকার বিক্রি করেছি।

একই গ্রামের কৃষক কনিকা বিশ্বাস বলেন, আমরা গত কয়েক বছর ধরে অ/জ্ঞাত ভাই/রাসের কারণে করলা চাষে লাভবান হতে পারছি না। তাও এবছর আবার চাষ করছি। আর আমরা ৬০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারছি। বর্তমানে বাজারে খুচরা ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গোপালগঞ্জ শহরের আড়তদার জাহিদ হোসেন বলেন, চলতি বছর করলার ফলন কম হওয়ায় আমদানিও কম। তবে বাজারদর খুব ভালো। এখানকার উৎপাদিত করলা ঢাকা, খুলনা,বরিশাল সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চলে যাচ্ছে। বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি ৮০-৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, ভাইরাসের আক্রমন হলে কৃষকরা আমাদের থেকে পরামর্শ নিয়ে তা থেকে পরিত্রান পান। আশা করছি তারা লাভবান হতে পারবেন। বর্তমানে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত করলা জমি থেকেই বিক্রি করতে পারছেন।

Advertisement