Homeসব খবরজেলার খবরকপির জোড়া ১০ টাকা!

কপির জোড়া ১০ টাকা!

প্রতি পিচ বাঁধাকপি ও ফুলকপি ৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন চাষিরা। কুড়িগ্রামের যাত্রাপুরে প্রতি জোড়া বাঁধাকপি ও ফুলকপির বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের যাত্রাপুর হাটে চিত্র দেখা গেছে।কুড়িগ্রাম থেকে বিভিন্ন প্রকার আবাদি সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে যায়। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি হওয়ায় কমেছ দাম। দাম এতো কমে যাওয়াতে হতাশ চাষিরা।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র মতে, জেলায় বিভিন্ন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমি। তবে অর্জিত হয়েছে ৭ হাজার ৪শ হেক্টর জমিতে।

ঘোগাদহ ইউনিয়নের চৈতের খামার গ্রামের জিয়াউর রহমান বলেন, জমি থেকে তুলে প্রায় সাড়ে ৪শ বাঁধাকপি বিক্রি করতে যাত্রাপুর হাটে নিয়ে এসেছি। ক্রেতারা প্রতি পিস পাঁচ টাকা দাম দিয়েছে। আমি এক বিঘা জমিতে বাঁধাকপির আবাদ করছি। যে কী হবে বলা মুশকিল। বাজারে প্রচুর আমদানি থাকার কারণে বিক্রি হচ্ছে না।

কাশেম নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, এক কৃষকের ফুলকপির খেত কিনেছি। ১ হাজার ফুলকপি নিয়ে আসছি হাটে ক্রেতা একেবারে কম। শেষের দিকে মনে হয় ৩টা ১০ টাকা করে বিক্রি করতে হবে। তারপরেও যে কী হবে বলা যাচ্ছে না। জোড়া ১০ টাকা করে দিয়েছি তাও কাস্টমার কম।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, জেলায় এবার বিভিন্ন শাক-সবজি প্রায় ৭ হাজার ৪শ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছে। বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যায়। ফুলকপি ও বাঁধাকপির বেলাও তাই হচ্ছে। তারা যদি স্থানীয় বাজারে বিক্রি না করে বাইরে বিক্রি করতো তাহলে দাম এতো কম হতো না। ফলে কেউ কিনতে চাচ্ছে না। মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় মানুষ কম খেতে চাচ্ছে।

Advertisement