Homeসব খবরজেলার খবরকচুর মুখি চাষে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে

কচুর মুখি চাষে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে

নিজেদের আর্থিক উন্নয়ের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে অনেক পরিবারকে সচল করেছেন। গাইবান্ধার চার উপজেলার প্রায় ২ হাজার কৃষক কচুর মুখি চাষে সফল হয়েছেন। কচুর মুখি চাষে কৃষকদের সুদিন ফিরেছে। তারা তাদের পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে কচু বাজারজাত করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।  চলতি মৌসুমে গাইবান্ধা জেলায় ৫৩৫ হেক্টর জমিতে কচুর মুখির চাষ হয়েছে।

এখানকার আবহাওয়া ও মাটি কচুর মুখি চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তা গাইবান্ধার ৪ উপজেলার মহিমাগঞ্জ, পবনাপুর, জামালপুর, কিশোরগাড়ি, গাইবান্ধার বোয়ালীসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের প্রায় ২ হাজার কৃষক এবার কচুর মুখি চাষ করেছেন। কেউ কেউ কচুর লতি তুলছেন, কেউ কচুর গাছ মাটি থেকে উত্তোলন করছেন, কেউ তা পরিষ্কার করে বাজারজাত করছেন। গত বছরের তুলনায় এবছর কচুর মুখির বেশি ফলন হয়েছে। বিস্তীর্ন মাঠে যেদিকে চোখ যায় শুধু কচুর মুখি গাছের সবুজ পাতা দেখা যায়।

কচু চাষি জহুরুল ইসলাম বলেন, এবছর আমি ৪ বিঘা জমিতে কচুর চাষ করেছি। এতে বিঘাপ্রতি ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি বিঘায় প্রায় ১০০ মণ কচুর উৎপাদন হবে। বাজারে তা ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারবো। আগামীতে আরো বেশি জমিতে কচুর চাষ করবো।

সাদুল্লাপুরের রসুলপুরের কচু চাষি আকবর হোসেন বলেন, আমি প্রতি বছরই কচুর চাষ করি। বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে ট্রাকে করে কচু নিয়ে যায়। প্রতি কেজি কচুর মুখি ১২-১৪ টাকায় বিক্রি হয়। বাড়ির কাজের পাশাপাশি দিনে ১-২ মণ কচু পরিষ্কার করে ৮০-১০০ টাকা আয় করছেন। কচু তোলা, ধোয়া, ও বাজারজাতের জন্য প্রস্তুত করতে শত শত নারী শ্রমিক কাজ করছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মাসুদার রহমান বলেন, এখানকার উৎপাদিত কচু জেলা চাহিদা পূরণ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। আর চাষিরা কচু চাষে লাভবান হতে পারছেন। এতে অল্প খরচে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি জেলার সবজি চাহিদা পুরণ হচ্ছে।

Advertisement