কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নদী বিচ্ছিন্ন নারায়ণপুর ইউনিয়নে ইব্রাহিম আলী ও রেহানা বেগম নামে এক দম্পতির পালন করা দেশী প্রজাতির একটি পাতি হাঁস পরপর দুদিন দুটি কালো ডিম দিয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই ডিম দেখতে প্রতিদিন তাদের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন এলাকার মানুষ। প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, হাঁসটির জরায়ুর সমস্যার কারণে এমন হতে পারে।
ইব্রাহিম নারায়ণপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী পূর্ব নারায়ণপুর পরামানিক পাড়ার বাহার আলীর ছেলে। তিনি কুড়িগ্রাম মজিদা কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। তার স্ত্রী রেহানা বেগমও স্নাতক শ্রেণির শিক্ষার্থী। লেখাপড়ার পাশাপাশি তারা বাড়িতে কৃষি কাজ ও হাঁস পালন করেন। ছয় মাস আগে রেহানার বাবার বাড়ি থেকে পাঁচটি হাঁস উপহার পান এই দম্পতি। ছয় মাস প্রতিপালন করার পর শনিবার একটি হাঁস কালো ডিম দেয়। রবিবার আরেকটি কালো ডিম দেয় হাঁসটি। খবর ছড়িয়ে পড়লে দূরদূরান্ত থেকে হাঁসের কালো ডিম দেখতে বাড়িতে ছুটে আসেন উৎসুক মানুষ।
ইব্রাহিম বলেন, ‘ছয় মাস ধরে খুব যত্নে প্রতিপালন করছি হাঁসগুলো। সবগুলো দেশী জাতের হাঁস। পাঁচটির মধ্যে একটি পুরুষ হাঁস। হাঁসগুলো শ্বশুর বাড়ি থেকে উপহার দিয়েছিল। দু’টি কালো রঙ এর হাঁস আছে। স্বাভাবিক খাবার দেয়া হয় হাঁসগুলোকে। শনিবার সকালে রাত থেকে একটি হাঁস ডিম দিচ্ছে। সবগুলো ডিমের রঙ কালো। রোববার বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা মিলে কৌতূহল নিয়ে ডিমটি বের করেন তারা। ওইদিনও কালো রঙের ডিম দেয় হাঁসটি।
আব্দুল মজিদ বলেন, কালো ডিমের খবর পেয়ে ছুটে আসি। ডিম দেখে অবাক হই। এর আগে এমন রঙের দেখিনি। ডিম দেখতে আসা ৭০ বছর বয়সী মোজাহার আলী বলেন, ‘জীবনে প্রথম কালা ডিম দেখলাম। কিছু বুঝতে পারছিনা। অনেকে আসতেছে দেখতে।’
প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা বলছেন, হাঁসের জরায়ুতে ইনফেকশন থাকলে এমন হতে পারে। ডিম তৈরীর পিগমেন্ডের প্রয়োজনীয় পরিমাণ অনুপস্থিত থাকলেও এমনটা হতে পারে।
নাগেশ্বরী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. আশিকুজ্জামান বলেন, নারায়ণপুরে হাঁসের কালো ডিম দেয়ার সংবাদ জেনেছি। এখন দেখিনি। এটি বিরল ঘটনা। তবে এটা হাঁসের জরায়ুতে ইনফেকশন বা কম মাত্রার পিগমেন্টের কারণে এমন হতে পারে। এর আগে ভোলার চরফ্যাশনে একটি দেশি পাতিহাঁস কালো ডিম পেড়েছিল। যা নিয়ে মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্যেল সৃষ্টি হয়েছে।-সমকাল।