Homeসব খবরবিনোদনএবার আমার প্রতিশোধের জন্য অপেক্ষা করো : স্বামী যশকে...

এবার আমার প্রতিশোধের জন্য অপেক্ষা করো : স্বামী যশকে নুসরাত

বিতর্ক তাঁর সঙ্গী। নিখিল জৈনের সঙ্গে ঘর ভাঙার পর যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তিনি। যদিও সে কথা বাইরে বলতে সে সময় স্বচ্ছন্দ ছিলেন না দু’জনেই। নুসরত জাহান ও যশ দাশগুপ্ত— দুজনের মধ্যে কেমিস্ট্রি দারুণ। দুজনে থাকেন প্রেমে, থাকেন ভালবাসায়। সেই নুসরতকেই নাকি ঠকালেন যশ। ঠিক কী ঘটেছে?

এই মুহূর্তে দুজনেই রয়েছেন রাজস্থানে, এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছেন দু’জনে। নুসরত যশকে অনুরোধ করে ন তাঁর কয়েকটি ভাল ছবি তুলে দেওয়ার জন্য। দেন হিরোইন সুলভ পোজ। যশও রাজি হন, কিন্তু ফোন হাতে নেওয়ার পর এ কী! নুসরতের একটা ছবিও না তুলে সেলফি মোডে নিজেরই ছবি তুলে গেলেন যশ। আর নুসরত, তিনিও গেলেন বেজায় রেগে।

যশকে তাঁর রীতিমতো হুমকি, “এই যে হিরো, এবার আমার প্রতিশোধের অপেক্ষা করো।” অন্যদিকে মিমি চক্রবর্তী কী লিখেছেন জানেন? এই মজার ভিডিয়ো দেখে মিমি চক্রবর্তীও লিখেছেন, “ডায়েড”। অর্থাৎ স্বামী-স্ত্রীর এই খুনসুটি দেখে হাসি চাপতে পারছেন না তিনিও।

নুসরত জাহান– বিতর্ক তাঁর সঙ্গী। নিখিল জৈনের সঙ্গে ঘর ভাঙার পর যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তিনি। যদিও সে কথা বাইরে বলতে সে সময় স্বচ্ছন্দ ছিলেন না দু’জনেই। প্রকাশ্যে আসে নুসরতের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর। চতুর্দিকে ওঠে কলরব, সন্তানের বাবা কি তবে যশই? হয় বিস্তর জলঘোলা। ২০২১-এ মা হন নুসরত। ছেলের নাম দেন ঈশান। মা নুসরত ও বাবা যশ– ছেলের জন্মের শংসাপত্রে লেখা ছিল তেমনটাই। সে যাই হোক, তারপর কেটেছে বহু দিন। তবু বিতর্ক তাঁকে ছাড়েনি।

কিছুদিন আগে নুসরতকে নিয়ে এক প্রস্থ জলঘোলা হয়। তাঁর এলাকা বসিরহাটে এক কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বলিউড গায়ক মিকা সিং। ওই অনুষ্ঠানেই মিকা সিংয়ের গানের ছন্দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাচতে দেখা নুসরতকে। ওদিকে নুসরত জাহান শুধু এলাকার সাংসদই নন, বসিরহাট কলেজের ম্যানেজিং কমিটিতেও রয়েছেন তিনি। কলেজের নবীন বরণের অনুষ্ঠানে এলাকার সাংসদ তথা কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যের এই নাচ নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা।

বাঁকা মন্তব্য করতে ছাড়ে না বিজেপি শিবির। বিজেপি যুব মোর্চার বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পলাশ সরকার বলেন, “সাংসদ কলেজের অনুষ্ঠানে নাচতেই পারেন। নাচ-গান মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখে। তবে, এসবের পাশাপাশি বসিরহাটের উন্নয়ন সম্পর্কে তিনি যদি উদাসীন না হতেন, তাহলে তা ভাল হত। অন্যদিকে বাঁকা খোঁচার পাল্টা দেয় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও। তবে এ সবের মধ্যেই নিজের শর্তে বাঁচেন তিনি। কাউকে পাত্তা না দেওয়াই যে দস্তুর তাঁর।

সূত্র: টিভি৯ বাংলা।

Advertisement