Homeসব খবরক্রিকেটএক জ্ঞানী ব্যক্তির পরামর্শে সিদ্ধান্ত বদলেছিলেন আফ্রিদি

এক জ্ঞানী ব্যক্তির পরামর্শে সিদ্ধান্ত বদলেছিলেন আফ্রিদি

শহীদ আফ্রিদি আর অবসর শব্দগুলো একসঙ্গে শুনলেই হয়তো বিনোদনের খোরাক খুঁজে পান অনেকে। খেলোয়াড়ি জীবনে অবসর নিয়ে একাধিকবার তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে এসেছিলেন, সে কারণেই এ নিয়ে অনেক মজা করেন অনেকে। তবে ২০১৮ সালে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা আফ্রিদি তারও ৯ বছর আগে আসলেই পাকিস্তানের জার্সিতে আর না খেলার কথা ভেবেছিলেন। পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার নিজেই তা জানিয়ে বললেন, এক ‘বুজুর্গ’ বা বুড়ো জ্ঞানী ব্যক্তির পরামর্শে পরে সিদ্ধান্ত বদলেছেন তিনি।

কিন্তু অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তটা কেন নিতে চেয়েছিলেন আফ্রিদি? কারণটার সঙ্গে জড়িয়ে পাকিস্তানের ক্রিকেটের ভেতরকার রাজনীতি। ২০০৯ সালে শোয়েব মালিক পাকিস্তানের অধিনায়ক হওয়ার পর দলকে ঘিরে অনেক রাজনীতি হয়েছিল, নিজের অবসরের ভাবনার পেছনে এটাকেই কারণ হিসেবে দেখালেন ৪৪ বছর বয়সী সাবেক অলরাউন্ডার।

‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আর ক্রিকেটই খেলব না। শোয়েব মালিক তখন দলের অধিনায়ক ছিল, দলের ভেতরে তখন অনেক রাজনীতি চলছিল’, অবসরের ভাবনার কারণ ব্যাখ্যা করে পাকিস্তানি টিভি চ্যানেল সামা টিভিতে বলেছেন আফ্রিদি। পরে কীভাবে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন, সে ব্যাখ্যায় জানালেন এক বুজুর্গ বা জ্ঞানী ব্যক্তির কথা। ধর্মীয় বিষয়ে জ্ঞানী সেই ব্যক্তি আফ্রিদিকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের কথা মনে করিয়ে আফ্রিদিকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে ফিরিয়ে এনেছিলেন।

‘তিনি আমাকে বলেছিলেন, আপনি আপনার নিজের পারফরম্যান্স আর বৈশ্বিক ব্যাপার নিয়ে কতই না ভাবছেন! শুধু আপনার জীবনের জটিলতাগুলোকে মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের কঠিন দিকগুলোর সঙ্গে তুলনা করে দেখুন, আপনি বুঝতে পারবেন আপনার ঝামেলাগুলো কোনো ঝামেলাই নয়’, জানিয়েছেন আফ্রিদি।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, আফ্রিদি যে সময়ে অবসরের ভাবনা এসেছে বলে জানাচ্ছেন, সেটি পাকিস্তানের ক্রিকেটে বেশ রমরমা একটা সময়ই ছিল। সে বছর ইংল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল পাকিস্তান, টুর্নামেন্টজুড়ে দারুণ খেলা আফ্রিদি সেমিফাইনাল ও ফাইনালে হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। সেই একই বছরে কিনা দলের রাজনীতির কারণে খেলা ছেড়ে দেওয়ার ভাবনা এসেছিল তাঁর!

Advertisement