Homeসব খবরআন্তর্জাতিকউত্তেজনা-মৃত্যু সত্ত্বেও আল-আকসায় ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল

উত্তেজনা-মৃত্যু সত্ত্বেও আল-আকসায় ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল

মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের সঙ্গে মিল রেখে ফিলিস্তিনেও পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হচ্ছে। কিন্তু ঈদুল ফিতরের দিনেও ইসরায়েলি বোমারু বিমান ঝাঁকে ঝাঁকে এসে গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ করছে। ফিলিস্তিনের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৩ মে) ভোরে গাজা উপত্যকার অধিবাসীরা যখন ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন থেকেই ইসরায়েলি বিমানগুলো বোমাবর্ষণ শুরু করে।

তবুও পবিত্র আল আকসা মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজে অংশ নিয়েছেন বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনি। দখলদারদের হুমকি-ধামকি ও সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই মসজিদটিতে জামাতের সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন কয়েক হাজার মুসল্লি।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের ক্রমাগত বিমান হামলা ও আল-আকসায় তাণ্ডবের জেরে এবারের ঈদুল ফিতরের সব আয়োজন বাতিল ঘোষণা করেছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। কিন্তু এরপরও বৃহস্পতিবার মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদটিতে ঢল নামে মুসল্লিদের।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, ঈদের সকালে ইসরায়েলের হামলায় গাজা শহরের তেল আল-হাওয়া এলাকায় রিমা তেলবানী নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং তার শিশু সন্তান নিহত হয়েছে। এ ছাড়া গাজার শেখ জায়েদ এলাকার একটি আবাসিক ভবনে বোমা হামলায় প্রবীণ এক দম্পতি ভবনটির ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে মারা যান।

সাফওয়াত আল-কাহলুত নামে এক ফিলিস্তিনি আল-জাজিরাকে বলেন, বোমা বর্ষণের কারণে বুধবার রাত থেকেই গাজা জেগে (ঈদের জন্য জাগতে হয়নি) আছে। কিছু সময় পরপর বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে, আর ভবনগুলো কেঁপে কেঁপে উঠছে।

সংবাদ সংস্থা আল সাফা জানায়, বৃহস্পতিবার হামাসের সামরিক শাখা আল কাসসাম বিগ্রেডের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা ইসরায়েলজুড়ে আমাদের প্রতিরোধ সম্প্রসারিত করেছি। ফিলিস্তিন রক্ষায় আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।

এদিকে ফিলিস্তিনের স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আল-জাজিরাকে জানিয়েছে, অব্যাহত বোমা হামলায় ফিলিস্তিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে আল-জাজিরার হিসেবে, অন্তত ৬৯ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে অন্তত ১৭ শিশু ও ৮ নারী রয়েছে।-সময় নিউজ।

Advertisement