Homeসব খবরজেলার খবরইউরোপ যাচ্ছে গোসাইরহাটের মরিচ!

ইউরোপ যাচ্ছে গোসাইরহাটের মরিচ!

শরীয়তপুরের গোসাইরহাটের জয়ন্তিকা নদীর দুই পাড়সহ আলাওলপুর, কোদালপুর ও কুচাইপট্টিতে মরিচ চাষ করা হয়। প্রতি বছরের মতো এবছরও মরিচ এর ভালো ফলন হয়েছে। খুব শিগগিরি বাণিজ্যিকভাবে মশলা জাতীয় এ ফসল বিদেশে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন গোসাইরহাট উপজেলা কৃষি অফিসার মো. শাহাবুদ্দিন।

চলতি বছর শরীয়তপুরে কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। এই জেলার কৃষকরা ব্যাপক পরিমানে মরিচের চাষ করেছেন। এইখানকার উৎপাদিত কাঁচা মরিচ বাণিজ্যিকভাবে ইউরোপে রপ্তানি হবে। এতে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।

সাইখ্যা গ্রামের কাঁচা মরিচ চাষি আব্দুল আজিজ হাওলাদার বলেন, আমি প্রতি বসরের মতো এই বছরও মরিচ চাষ করেছি। চারা রোপণের ৩ মাসেই ফলন পেয়েছি। মরিচ চাষে আমার ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাজারে প্রতি মণ ৩৭০০-৪০০০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করে ৪ গুন লাভবান হয়েছি। কাঁচা মরিচ বিদেশে রপ্তানি হলে আমার মতো অনেক কৃষকেরই ভাগ্য পরিবর্তন হয়ে যাবে।

কৃষক করিম মৃধা বলেন, আমি এবছর কৃষি অফিসারের পরামর্শে বিজলী প্লাস জাতের মরিচ চাষ করেছি। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর মরিচের ফলন বেশি হয়েছে। স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে বিক্রি করছি। এখান থেকে বিদেশে মরিচ রপ্তানি করা হলে আমারা বিক্রি করে লাভবান হতে পারবো।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, চলতি বছর ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। অন্যান্য জেলা উপজেলায় এখানকার মরিচের বেশ কদর রয়েছে। কৃষকরা প্রতিমণ কাঁচামরিচ ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারছেন। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি রপ্তানি করতে পারবো। পাশাপাশি আগামীতে আরো বেশি জমিতে মরিচের চাষ হবে। গোসাইরহাটের কাঁচা মরিচও ইউরোপে রপ্তানি করার প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে চলমান রয়েছে।

Advertisement