Homeসব খবরজাতীয়আরেকটি স্বপ্নপূরণের অপেক্ষায় রইল গোটা জাতি

আরেকটি স্বপ্নপূরণের অপেক্ষায় রইল গোটা জাতি

আসছে আগামী ১ অক্টোবর থেকে মেট্রোরেলের চূড়ান্ত পারফর্মেন্স টেস্ট শুরু করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এরপর কিছুদিন যাত্রীবিহীন চলাচল শেষেই শুরু হবে বাণিজ্যিক যাত্রা। এবার আরেকটি স্বপ্নপূরণের অপেক্ষা রইল গোটা জাতি।

এরই মধ্যে পরীক্ষামূলক চলাচলের সব ধাপ শেষ হবে। পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয় চলাচলের জন্য বসানো হয়েছে নিজস্ব নেটওয়ার্কের লাইন। এতে লাইনে থাকা একটি ট্রেনের গতি বাড়লে সমান হারে বাড়বে অন্যটির গতিও। একই লাইনে থাকলেও দুটি ট্রেনের একটি আরেকটিকে ধাক্কা দেবে না বা ঘটবে না সংঘ’র্ষ। জুন শেষে এ অংশের কাজের অগ্রগতি ৯৩ দশমিক ৭৬ ভাগ। হাতে আছে যেহেতু আর কয়েক মাস তাই এখন প্রায় নিয়মিতই হচ্ছে বিভিন্ন পর্যায়ে ট্রায়েল রান। হচ্ছে অটোমেটিক চলাচলের পরীক্ষ-নিরীক্ষাও।

ডিসেম্বরেরই শুরু হবে স্বপ্নের এক যাত্রার। প্রাথমিক লক্ষ্য উত্তরা থেকে আগারগাঁও। কর্তৃপক্ষ বলছে দুটি ট্রেনের সর্বনিম্ন দূরত্ব হবে ২৫০ মিটার স্বয়ংক্রিয় চলাচলে একটির গতি বাড়লে আরেকটিও বাড়বে। ঠিক একই অবস্থা হবে গতি কমলেও। তাই একটি ট্রেনকে অপরটি ধাক্কা দেবে এমন ঘটনা ঘটবে না। থাকবে না দুটি ট্রেনের সামনাসামনি সংঘর্ষের শঙ্কা। আর এ সবই নিয়ন্ত্রণ করবে অটোমেটিক প্রটেকশন পদ্ধতি যা নিয়ন্ত্রণে বসানো হয়েছে নিজেস্ব নেটওয়ার্ক সিস্টেম।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, নেটওয়ার্ক স্থাপন করতে হবে, এটি দূর নিয়ন্ত্রিত হবে, ওয়াইফাই, জি ফাইভ সংযুক্ত হয়ে এটি চলবে। এটির দুটি টেস্ট আমরা করে ফেলেছি, আরও বেশকিছু টেস্ট বাকি আছে। আমরা যে দুটি টেস্ট করেছে সেটি হচ্ছে অটোমেটিক ট্রেন অপারেশন। যে ট্রেনটি এখন অটোমেটিক চলাচল করতে পারে কি না।

মাসখানেক এ পরীক্ষামূলক চলাচলের পরেই শুরু করা যাবে বাণিজ্যিক যাত্রা। তিনি আরও বলেন, আগামী অক্টোবর মাসে যাত্রা আমরা শুরু করতে চাচ্ছি। এটি হলো ইন্টিগ্রেটেট টেস্ট, এটির পরে যাত্রী পারাপারে সেই রানটি আমরা করবো। তারপর আমরা বাণিজ্যিক চলাচলের দিকে যাবো। এ ছাড়া যে কোন অনাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে থাকবে ম্যান্যুয়াল পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা। এই প্রক্রিয়া শেষে অক্টোবরের প্রথম দিনেই শুরু হচ্ছে ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট।

Advertisement