Homeসব খবরবিনোদনআরাভ খানকে আমি চিনিই না, সে আমার ভাই নয়...

আরাভ খানকে আমি চিনিই না, সে আমার ভাই নয় : আমিন খান

দেশীয় গণমাধ্যমে এই মুহূর্তে আরাভ বা সোহাগ মোল্লা আলোচনায় রয়েছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে আরাভ খানের জুয়েলার্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, পরিচালক ও নির্মাতা দেবাশীষ বিশ্বাস, চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘিসহ কয়েকজন তারকা অংশ নেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর নানা আলোচনা শুরু হয় বিভিন্ন মাধ্যমে।

‘আরাভ খান’ বাংলাদেশের একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা মামলার আসামি- আর নিয়েই নিয়ে যত আলোচনা শুরু হয়। আর নামে মিল থাকার জন্য অনেকে মনে করছেন আরাভ খান চিত্রনায়ক আমিন খানের ভাই। এ কারণে বিষয়টি নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে চিত্রনায়ককে। তবে আমিন খান বললেন, গণমাধ্যমের ফোন পেয়েই আমি প্রথম বুঝতে পারি যে আমাক্লে নিয়ে কোথাও আলোচনা হচ্ছে।

শুক্রবার দুপুরে আলাপকালে জনপ্রিয় এই অভিনেতা বলেন, আরাভ খান নামটি আমি কখনো শুনিনি। কোত্থেকে কিভাবে এটা ছড়াল আমি ঠিক বুঝতে পারছি না। তবে এ নিয়ে আমি চিন্তিত্র না। কোন কিছু ছড়ালেই তো সত্য হয়ে যায় না। শুধু ফোনকল গুলোই আমাকে বিরক্ত করছে।

(১৭ মার্চ) এ ব্যাপারে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন অভিনেতা আমিন খান। তিনি বলেন, দুবাইয়ের আরাভ খান আমার কোনো ভাই নন। এ নিয়ে কী ঝামেলায় যে পড়ছি। আরাভ খান নামে কোনো ভাই নেই আমার। অনেকেই আমার কাছে জানতে চাচ্ছেন, দুবাইয়ের আরাভ খান আমার ভাই কিনা। ওই আরাভ খানকে তো আমি চিনিই না।

আমিন খান বলেন, অনেকে ভুল করে ওই আরাভকে আমার ভাই মনে করছেন। আসলে এটা ভুল কি না জানি না, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতেও পারে কিংবা কেউ ইউটিইউবে ভিডিও বানিয়েও ভিউ পাওয়ার জন্য এসব করেছে। আসলে মানুষজন বোঝে কোনটি সত্য কোনটি মিথ্যা। এসব নিয়ে আমি চিন্তিত নই।

এ নিয়ে বিব্রত বোধ করছি। আমার ভাইয়ের নাম আশরাফুল ইসলাম। একটি সিনেমায় অভিনয় করেছিল সে। হয়তো সিনেমায় আরাভ নাম থাকতে পারে তার। সেখান থেকেই হয়তো কেউ কেউ মনে করছেন তিনি (আরাভ খান) আমার ভাই। এ নিয়ে সবার ভুল ভাঙানো প্রয়োজন। আমিন খান জানান, তারা তিন ভাই। একজন আশরাফুল ইসলাম এবং আরেক জনের নাম আরিফুল ইসলাম। তারা সবাই রাজধানী ঢাকায় থাকেন।

২০১৮ সালের ৭ জুলাই রাজধানীর বনানীর একটি ফ্ল্যাটে খু/ন হন পরিদর্শক মামুন। তাকে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে ডেকে নিয়ে নির্ম/মভাবে পিটিয়ে হ/ত্যা করা হয়। হ/ত্যাকাণ্ডের পর আরাভ খান ওরফে সোহাগ মোল্লা ভারতে পালিয়ে যান। এই মা/মলায় ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল গোয়েন্দা পুলিশ সোহাগ মোল্লা ওরফে রবিউলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়। পুলিশ হ/ত্যার মা/মলায় তার ভাড়া করা এক ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করে ৯ মাস জেল খেটে বের হন! ২০২০ সালে ভারতীয় পাসপোর্ট পান তিনি। যাতে তার নাম বদলে লেখা হয় ‘আরাভ খান’।

কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘সোহাগ মোল্লা ওরফে মোল্লা আপন, ওরফে রবিউল ইসলাম রবি, ওরফে শেখ হৃদি, ওরফে আরাভ খানের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ৯টি ওয়ারেন্ট আমার থানায় এসেছে। আমি ওয়ারেন্টগুলো তামিল করার জন্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু তার কোনো হদিস আমরা পাইনি।’

সূত্র: কালের কণ্ঠ অনলাইন।

Advertisement