Homeসব খবরক্রিকেট‘আমি পোলার্ড-রাসেলের মতো সহজে বাউন্ডারি মারতে পারি না’

‘আমি পোলার্ড-রাসেলের মতো সহজে বাউন্ডারি মারতে পারি না’

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ওয়ানডের প্রথম ম্যাচটায় অনেক কষ্ট করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। নিজেদের মাঠে লঙ্কান দের তরুণ দলটিকে সহজেই হারানো সম্ভব হলেও শেষ পর্যন্ত কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে টাইগাররা।

এই জয়ে শুধু লঙ্কান দের বোলারদের বিপক্ষেই লড়তে হয়নি স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের, লড়তে হয়েছে আবহাওয়ার সঙ্গেও। অতিরিক্ত গরমে কম সময়েই দুর্বল হয়ে যাওয়ার শঙ্কা থেকেই যায়। ম্যাচ শেষে মুশফিকও স্বীকার করেছেন, বিরূপ আবহাওয়ায় নিজেদের চেনা কন্ডিশনও অচেনা হয়ে ওঠার কথা।

“এটা ক্রিকেটের জন্য আদর্শ কন্ডিশন নয়, সত্যি বলতে। শুধু গরমই নয়, ভেতর থেকে অনেক কিছুই শুষে নেয় এটা। প্রচণ্ড হিউমিড, অনেক ঘাম ঝরে। প্রতিটি বলে মনোযোগ ধরে রাখতে হয়। তবে আমাদের ক্রিকেটারদের কৃতিত্ব, তারা খুব ভালো সামলেছে। বিশেষ করে বোলাররা। মিরাজ অসাধারণ ছিল, মোস্তাফিজ ও সাকিবও সঙ্গ দিয়েছে তাকে।”

ব্যাটিংয়ের পুরো সময়টায় মুশফিককে সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হয়েছে বিরূপ আবহাওয়ার সঙ্গে। গরমের জন্য বাউন্ডারি হাঁকানোও কঠিন ছিল, তবে আস্তে আস্তে রান করে একপ্রান্ত আগলে রাখার চেষ্টা করে গেছেন দেশ সেরা এই ব্যাটসম্যান।

“আই অ্যাম নট অ্যা বিগ গাই। সহজে বাউন্ডারি মারতে পারি না আমি। আমি পোলার্ড বা রাসেল নই। আমি নিজের শক্তির জায়গায় থাকার চেষ্টা করি। কন্ডিশনও আমাকে সুযোগ দেয়নি খুব বেশি বাউন্ডারি মারার। আমি তাই সময় নিয়েছি, আস্তে আস্তে রান বাড়িয়েছি। একটা প্রান্ত নিরাপদ রাখতে হতো আমাকে। সেটা আমি করেছি। রিয়াদ ভাইও সঙ্গ দিয়েছেন। আফিফ ও সাইফের ফিনিশিং টাচ ছিল দুর্দান্ত।”

নিজের পারফরম্যান্সের জন্য সতীর্থদেরও কৃতিত্ব দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। শুরুতে লিটন দাসের শূন্য রানে ফেরার পর সাকিবও (১৫) বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হন। এরপর তামিমকে নিয়ে ৫৬ রানের জুটি, তামিমের পর মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে আরও ১০৯ রানের লম্বা জুটি গড়েন মুশফিক। ৯৬.৫৫ স্ট্রাইক রেটে শেষ পর্যন্ত ৮৪ (৮৭) রানের ইনিংস খেলে ফেরেন সাজঘরে।

“ব্যাটিংয়ের জন্য এই উইকেট খুব সহজ নয়। শুরুতে লিটন ও সাকিবকে হারিয়ে আমরা একটু চাপে ছিলাম। তবে তামিম সেই সময় খুব ভালো ব্যাট করেছে, যে কারণে আমি সময় নিয়ে এগিয়ে যেতে পেরেছি। রিয়াদ ভাইও খুব ভালো ব্যাট করেছেন। সব মিলিয়ে এটা ভালো ম্যাচ ছিল, কারণ লম্বা সময় পর আমরা ঘরের মাঠে ওয়ানডে ম্যাচ খেলছি। ভালো ম্যাচ ছিল।”

Advertisement