ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ একটি পরিণত দল হয়ে উঠলেও এখনও পর্যন্ত টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হাবুডুবু খাচ্ছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে আধুনিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের পারফরমেন্স সত্যিই নগণ্য। বিশেষ করে বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানদের পারফরমেন্স দিন দিন আরো তলানীর দিকে যেতে শুরু করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের ওপেনার মোঃ নাঈম শেখের স্ট্রাইক রেট একশোর কিছু বেশি। বাংলাদেশ জাতীয় দলে এই মুহূর্তে ১৩০ প্লাস স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করার মত কোন ব্যাটসম্যানই নেই।
যেটি স্বীকার করে নিয়েছেন বর্তমান সময়ের বাংলাদেশ দলের সেরা টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান লিটন দাস। দৈনিক সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লিটন দাস বলেন, “আমাদের হাতে ওই রকম ব্যাটারই নেই যে নামার সঙ্গে সঙ্গে ১৪০-এর ওপরে স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করতে পারেন। যে রেকর্ডই নেই, সেখানে আশা করা যায় না যে নেমেই বড় শট খেলবে কেউ একজন। ১৪০ স্ট্রাইকরেটে নিয়মিত ব্যাট করার মতো কেউ নেই। যাঁর যেমন সামর্থ্য, তিনি সেটাই করবেন। নাজিবুল্লাহ পাওয়ার হিটিং করে অভ্যস্ত”।
“গত ম্যাচে সেটাই করেছেন। মাঝের একজন ৪০ বলে ৪২ রান করেছেন সম্ভবত। এই রোলটা আমাদের দলের অনেকে প্লে করতে পারবেন যে ৪০ বলে ৪২ করবেন। কিন্তু ওই রোলটা কে প্লে করবেন, ১৭ বলে ৪০ হবে। সত্যি বলতে, এ রকম ক্রিকেট আমরা খেলি না, নেমেই প্রথম বল থেকে মারব।” “পাকিস্তানের বিপক্ষে হার্দিক পান্ডিয়া কী করলেন? গেম সিনারিওই বদলে দিয়েছেন তিনি। এ রকম ব্যাটারের অভাব আমাদের। এ রকম ব্যাটার এক-দু’দিনে পাবেন না। হুট করে কেউ তৈরিও হয় না। এ জন্য লম্বা প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হবে”।
“হার্দিক পান্ডিয়া এক-দু’দিনে হয়নি। অনেক দিন খেলে তৈরি হয়েছে। আমি ফিল করি, এই জিনিসগুলো ম্যাটার করে। ম্যাচে নামার সময় যে ইনফো স্ট্ক্রিনে দেখায়, সেটাই হলো একজন ব্যাটারের ক্যারেক্টার। এর থেকে বেশি কিছু করতে গেলে হিতে বিপরীত হয়ে যাবে। আমাদের যা আছে, তা নিয়েই চলতে হবে।”