এতে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে মাত্র ১ হাজার ২০০ টাকা। শ্রমিক দিয়ে যা করতে গেলে অন্তত ৬ হাজার টাকা । এছাড়া উইডার মেসিন দিয়ে নিড়ানী দেওয়া হবে। এতে মাত্র ২জন শ্রমিক প্রয়োজন পরে। এক্ষেত্রে অন্ততঃ ১০জন শ্রমিকের মজুরী সাশ্রয় হবে। এতে করে টাকা সময় উভয়ে বেচে যাচ্ছে তাতে কৃষক লাভবান হবেন। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আধুনিক পদ্ধতিতে ধান রোপন করা হচ্ছে। এতে কৃষকের খরচ অনেকটাই কমে যাচ্ছে। কৃষকরা ধানের চারা রোপনে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ব্যবহার করছেন।
সব মিলিয়ে এই পদ্ধতির চাষাবাদের ফলে কৃষকেরা বিঘা প্রতি সাশ্রয় হচ্ছে অন্ততঃ ১২ হাজার টাকা। এছাড়া এই পদ্ধতির চাষাবাদে বিঘা প্রতি হাইাব্রিডে ৩০ মনের স্থলে ৩৫ মন ধান উতপাদিত হবে বলে আশা করছেন । উফশী জাতে ২৫ মনের স্থলে ৩০ মন ধান উতপাদিত হবে। এছাড়া ২০ থেকে ২২ দিন বয়সের ধানের চারা রোপন করতে হয়। তাই ধানের উৎপাদন বেড়ে যায়। এই পদ্ধতির চাষাবাদে জমিতে কোন আইল থাকে না।
ধান চাষি নাজিম বলেন, আমি এই বছর রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে ১ বিঘা জমির ধান আবাদ করেছি। এতে আমার খরচ সময় টাকা দুটোই সাশ্রয় হয়েছে। যা শ্রমিক দিয়ে করতে গেলে যেত অন্তত ৬ হাজার টাকা। এখন আমার বিঘা প্রতি খরচ হচ্ছে মাত্র ১ হাজার ৫০০ টাকা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক ড. অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, দেশের সরকার কৃষিকে আধুনিকায়ন করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। এই পদ্ধতিতে চাষাবাদে শ্রমিক কম লাগে। এছাড়া ধানের উতপাদন বৃদ্ধি পায়। ম্যনেজমেন্ট ও সেচ-নিকাশ খুব সহজ। ধানের অধিক ফলন পেয়ে কৃষক লাভবান হন। এই পদ্ধতির চাষাবাদ সম্প্রসারিত হলে দেশের খাদ্য উতপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।