Homeসব খবরজেলার খবরআখ চাষে ঝুঁকছেন পাহাড়ি চাষিরা!

আখ চাষে ঝুঁকছেন পাহাড়ি চাষিরা!

পানির পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় এবং অন্যান্য ফসলের থেকে আখ লাভজনক হওয়ায় চাষিরা আখ চাষের দিকে ঝুঁকছেন। শেরপুরের সীমান্তবর্তী পাহাড়ি তিন উপজেলায় জনপ্রিয়তা পাচ্ছে আখ চাষ।

শেরপুরের সীমান্তবর্তী শ্রীবর্দী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় পানির অভাবে চাষিরা ধান চাষ করতে পারছেন না। তাই চাষিরা কৃষি বিভাগের পরামর্শে গত কয়েক বছর যাবত আখ চাষ করছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় আখ চাষ অনেক লাভজনক হওয়ায় দিন দিন আখ চাষির সংখ্যা ও আখ চাষের আবাদ দিন দিন বাড়ছে।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, পাহাড়ি এলাকায় সেচ দিতে অসুবিধা হয়। আখ চাষে বেশি সেচ দিতে হয় না। আখ উৎপাদনে খরচ কম। তাই আখ চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। এছাড়াও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকের আখ চাষে বিঘাপ্রতি ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। আর কৃষকরা ৯০ হাজার থেকে প্রায় ১ লাখ টাকার আখ বিক্রি করতে পারেন। এ বছর জেলায় ১৫৫ হেক্টর জমিতে আখের আবাদ হয়েছে।

চাষি আবুল হোসেন বলেন, আমি ২ বিঘা জমিতে আখ চাষ করি। পানির ব্যবস্থা না থাকায় এখানে অন্য কোনো ফসল ফলানো সম্ভব হয় না। তাই আখ চাষ করছি। আখ চাষে আমার প্রায় ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি প্রায় ২ লাখ টাকার আখ বিক্রি করতে পারবো। ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার বলেন, পাহাড়ি এলাকায় ধান চাষ করা সম্ভব হয় না। তাই আমরা চাষিদের আখ চাষে আগ্রহী করে তুলছি।

জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুলতান আহম্মেদ বলেন, শেরপুরের সীমান্তবর্তী শ্রীবর্দী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী এই তিন উপজেলার জমিতে ধানের আবাদ হয় না। তাই আমরা চাষিদের আখ চাষের পরামর্শ দিচ্ছি। তারা পরামর্শ অনুযায়ী কয়েক বছর যাবত জমিতে আখ চাষ করছেন। প্রতি বছরই আখের আবাদ বাড়ছে। আর আখ চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।

Advertisement